ফৌজদারি আইন বদলের বিল নিয়ে তাড়াহুড়ো নয়, শাহকে চিঠি মমতার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম— দেশের আইন-শৃঙ্খলার খোলনলচে বদলে দেওয়া তিনটি বিল নিয়ে বিজেপি শিবিরের তাড়াহুড়ো দেখে আপত্তি তুলছে বিরোধী শিবির। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ফৌজদারি আইন বদলের বিল নিয়ে তাড়াহুড়ো না করার জন্য অনুরোধ জানালেন। চিঠিতে মমতা এই ধরনের একটি অত্যন্ত স্পর্ষকাতর বিষয় নিয়ে ধীরেসুস্থে এগোনোর পরামর্শ দিয়েছেন। তার মতে বিলটি পাশ করানোর আগে আরও গভীর ভাবে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা উচিত।
উল্লেখ্য, সংসদের স্থায়ী কমিটিতে তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে এবং অন্যান্য ভারতীয় দলগুলির সাথে প্রস্তাবিত আইনগুলির তীব্র বিরোধিতা করছে।
বাদল অধিবেশনের একেবারে শেষ দিনে আচমকাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির বদলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ফৌজদারি দণ্ডবিধির বদলে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং সাক্ষ্য আইনের বদলে ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম চালু করার জন্য তিনটি বিল পেশ করেন। বিলগুলি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়। বিজেপি শিবির চাইছে, মাত্র তিন মাসের মধ্যে তিনটি বিল নিয়ে স্থায়ী কমিটি রিপোর্ট পেশ করুক। যাতে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই তিনটি বিল পাশ করিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু বিরোধীরা মনে করছে এত দ্রুত এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসা উচিত নয়। এতে দেশবাসীর উপর বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে।
উল্লেখ্য আগামী ৩ ডিসেম্বর ছত্তিশগড়, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা ও মিজোরাম বিধানসভার ভোট গণনা রয়েছে। ভোটের ফল প্রকাশের পর দিনই বসছে সংসদে অধিবেশন। সাধারণত নভেম্বরের মাঝামাঝি বসে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এবছর ব্যতিক্রম ঘটেছে। কারণ, পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে এর মাঝে। বিধানসভা ভোটের প্রচারে ব্যস্ত দলের নেতা-নেত্রীরাও। ভোট প্রচারে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ছুটে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। সেই কারণে পাঁচ রাজ্যের ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পরে অধিবেশন বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।