দেশ বিভাগে ফিরে যান

র‌্যাট হোল মাইনিংয়েই বাজিমাত! আদপে পদ্ধতিটি কী?

November 29, 2023 | 2 min read

র‌্যাট হোল মাইনিংয়েই বাজিমাত! আদপে পদ্ধতিটি কী?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের উদ্ধারকাজে বাজিমাত করল র‌্যাট হোল মাইনিং। আলোয় ফিরলেন শ্রমিকরা, যন্ত্র হেরে গেলেও জিতল মানুষের পেশি শক্তি। আদপে পদ্ধতিটি ঠিক কী?

বিদেশ থেকে আনা অত্যাধুনিক মেশিন থমকে গিয়েছে, শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ ঘিরে অনিশ্চয়তা। এমন সময় মুশকিল আসান হয়ে উঠল র‌্যাট হোল মাইনিং। ইঁদুরের গর্তের মতো খুঁড়েই মিলল সাফল্য। ১৭ দিন পর মুক্তি পেলেন ৪১ জন শ্রমিক। সুড়ঙ্গের ধ্বংসস্তূপ খুঁড়তে ব্যবহার করা হয়েছিল ২৫ টনের অগার মেশিন। লোহার জালে আটকে ভেঙে যায় সেই যন্ত্র। তারপর সোমবার থেকে শুধু হয় র‌্যাট হোল মাইনিং। ইঁদুরের মতো সংকীর্ণ গর্ত খুঁড়তে খুঁড়তে এগিয়ে যায় উদ্ধারকারীরা। ম্যানুয়াল ড্রিলিং হয় দ্রুতগতিতে।

র‌্যাট হোল মাইনিং কী?

খনি থেকে যেভাবে কয়লা তোলা হয়, ঠিক একই পদ্ধতি এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। অত্যন্ত সরু গর্ত খুঁড়তে খুঁড়তে খাদানের নীচের দিকে চলে যান শ্রমিকরা। খাদান থেকে কয়লা উত্তোলনে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সরু গর্ত খুঁড়তে খুঁড়তে এগিয়ে চলেন শ্রমিকরা। গর্ত এতটাই সরু যে একজনের বেশি থাকা যায় না। এই পদ্ধতিতে জীবনের ঝুঁকি বিস্তর, পরিবেশ দূষণেরও অন্যতম কারণ। এই অবৈজ্ঞানিক খনন পদ্ধতিকে ২০১৪ সালেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু আজও এই পদ্ধতিতে কয়লা তোলার কাজ রোখা যায়নি। উত্তরকাশীতে সেই নিষিদ্ধ খনন পদ্ধতিই মানুষের প্রাণ বাঁচাল।

সুড়ঙ্গের ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছিল দুই বিশেষজ্ঞ দল। ১২ জনকে দিল্লি থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, তাঁরা আদতে র‌্যাট হোল মাইনার্স নন। এই পদ্ধতিতে তাঁরা বিশেষজ্ঞ। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তাঁরা কাজ করেছেন। একজন খোঁড়ার কাজ করেছেন। আর অন্যজন ধ্বংসস্তূপ সংগ্রহ করেছেন। তৃতীয়জন চাকা লাগানো গাড়িতে তা তুলে দিয়েছেন। এভাবে পালা করে করে কাজ এগিয়েছেন। শেষে সাফল্য এল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Uttarkashi Tunnel Rescue Operation, #rat hole mining, #uttarkashi, #Uttarkashi Tunnel Rescue

আরো দেখুন