তিস্তা থেকে মুখ ফেরাচ্ছে পরিযায়ী পাখিরা, নতুন ঠিকানা জলঢাকা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শীত মানেই পরিযায়ী পাখির অবাধ আগমন। প্রতি বছরই উত্তর তথা জলপাইগুড়ি জেলার নদী-বিল সবখানেই দেখা মেলে এই নতুন অতিথিদের। প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে অজানা- অচেনা বিদেশি পাখিদের কিচিরমিচির আরও মন ভরিয়ে দেয়। তাই এ সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি পাখিদের কোলাহল শুনতে ও দেখতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এবার দেখা গেল অন্য চিত্র। অন্যান্য বারের মতো জলপাইগুড়ির তিস্তা নদীতে আর দেখা মিলছে না পরিযায়ী পাখিদের।
সম্প্রতি সিকিম বিপর্যয়ে তিস্তার জলস্ফীতিতে ভেসেছে সমতলের বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীর জলে খড়কুটোর মতো নেমে এসেছে সমরাস্ত্র সহ আসবাবপত্র। কাদামাটি, নুড়িপাথর ভসে এসেছে। নদীর ঘোলা জল থাকে বেশ কয়েকদিন। দূষিত জলের ছোঁয়া মিলতেই কি তিস্তা থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেছে বিদেশি অতিথিরা? মাঝিমাল্লাদের সূত্রে যে তথ্য সামনে আসছে, তার ভিত্তিতে পাখি বিশেষজ্ঞ মহলে ওই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, কিছু পাখি নামলেও বিপদ বুঝে অল্প সময়ে ঠিকানা বদলে জলঢাকা অথবা তোর্সা নদীতে পাড়ি জমাতে শুরু করেছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষী বিশেষজ্ঞ শান্তনু মজুমদার বলেন, ‘‘আমরা বিগত ১০ বছর ধরে তিস্তা এবং তার সংলগ্ন নদী গুলিতে পরিযায়ী পাখিদের নিয়ে কাজ করে থাকি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কয়েক বছর থেকে ধীরে ধীরে পাখিদের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এর পিছনে তিস্তা নদীর দূষণকে দায়ী করা যায়। তাই আমাদের সকলকে তিস্তা নদীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে।’’ বিজ্ঞান মঞ্চের জলপাইগুড়ি শাখার সদস্য রাজা রাউত বলেন, বিগত বছরগুলিতে এ সময় ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি তিস্তায় দেখা যেত। কিন্তু, এবার দেখা যাচ্ছে অতীতের মতো তিস্তায় তেমন পাখি নেই। ঠিকানা বদলে জলঢাকা নদীতে ঠাঁই নিচ্ছে।