নেটিজেনদের জবাব দিলেন পিয়া চক্রবর্তী, কী লিখলেন তিনি?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২৭ নভেম্বর গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় আর মনো-সমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তী। জাঁকজমক নয়, ঘরোয়া আয়োজনের মাধ্যমে বিয়ের পর্ব সারেন পরমব্রত-পিয়া। আইনি বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতায় নিজেদের একাধিক ছবিও পোস্ট করেন অভিনেতা।
তার পর থেকেই একের পর এক ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে সমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তীকে। তিনি অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী। অনুপম ও পরমব্রত প্রাক্তন বন্ধু। আর সেই কারণে সাধারণের রোষানলে পিয়া। তাঁর চরিত্রের কাটাছেঁড়া থেকে শুরু করে অকথ্য গালাগাল বাদ যাচ্ছে না কিছুই।
অন্যদিকে বিয়ের পরই হঠাৎ কোমর-পিঠে যন্ত্রণা শুরু হয় পিয়ার। সেই কষ্ট সহ্য করতে না পেরেই পরদিন হাসপাতালে ছুটতে হয় তাঁকে। তার পরেই সন্ধ্যার দিকে ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে পিয়া সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ফরাসি ভাসায় লিখেছেন merci beaucoup। যার অর্থ ধন্যবাদ। তাঁর লেখায় উঠে এসেছে যে এবার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তিনি।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে সেলেব পত্নীরা লাগাতার ট্রোল হচ্ছেন দেখে অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী একটি পোস্ট করেছিলেন। তিনি লেখেন, “আমার বিয়ের ১৬ বছর হয়ে গেল। নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হয় যে আবির অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয় হওয়ার অনেক আগে বিয়েটা করে ফেলেছি। জানি না বিয়ের পর মুহূর্ত থেকে অচেনা-অজানা মানুষদের থেকে ক্রমাগত ধেয়ে আসা নোংরা, অসভ্য অশালীন মন্তব্য শুনে আমার মানসিক অবস্থা কী হত! ভাববেন না কোনও এক তারকার সঙ্গীকেই এর সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কারও রেহাই নেই। কাউকে বডি শেমিং করা হয়, তো কাউকে কথা শুনতে হয় আগের সম্পর্ক নিয়ে। কোনও না কোনও কারণে আপনাকে নোংরা কথা শুনতে হবেই। সব কিছু নিঁখুত-সুন্দর হলেও শুনতে হবে। কী অসাধারণ সমাজ আমাদের।”
ওই পোস্টে কমেন্টে করেছেন পিয়াও। লেখেন, “শোনো ট্রোলিং অত্যন্ত টক্সিক। তবে একটা জিনিস তুমিও জানো আর আমি বুঝেছি সময়ের সঙ্গে। নিজের অন্তর্জগৎটা বা ইনার সারকেলটা যদি সুন্দর থাকে, যদি আনন্দে আর শান্তিতে থাকে— এই সবগুলো কেমন ধুলোর মতো মিলিয়ে যায়। তাই আমাকে একদম স্পর্শ করে না আর এগুলো। অনেকগুলি কষ্টের অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে আমি এতে উপলব্ধ হয়েছি।”