শীতের দেখা নেই! ২২ বছরে উষ্ণতম নভেম্বর কাটাল মহানগর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কার্তিক পেরিয়ে মাঝ আঘ্রাণ, গরম জামা গায়ে দেওয়ার সময়তেও শীতের দেখা নেই তিলোত্তমায়। হাওয়ার শিরশিরানিও নেই। আবহবিদরা আগেই টের পেয়েছিলেন, এ বছর তাড়াতাড়ি শীত পড়ার আশা নেই। বস্তুত নভেম্বর গেল বেশ গরমেই। হাওয়া অফিস বলছে, ২০২৩’শে বিগত ২২ বছরের মধ্যে উষ্ণতম নভেম্বর কাটাল কলকাতাবাসী। জেলাতেও একই পরিস্থিতি, গোটা বাংলা এবারের নভেম্বরে রীতিমতো ঘেমেছে
আলিপুর হাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, নভেম্বরে কলকাতার পারদ ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও নেমেছে। তা ১৮৮৩ সালের কথা, সে বছর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। ২০১২ সালে নভেম্বরে ১৪ ডিগ্রিতে নেমেছিল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ১৫ ডিগ্রি বা তার নীচে তাপমাত্রা নেমেছে একাধিকবার। অথচ, এ বছর উলোটপুরান। ঠান্ডা কেবল রাতে ও ভোরে, বেলা বাড়লেই গরম। নভেম্বর একেবারেই নভেম্বরের মতো আচরণ করছে না।
এ বছর নভেম্বর গরমের নিরিখে রেকর্ড করে ফেলেছ। ২০০১ সালে নভেম্বরে কলকাতার তাপমাত্রা ১৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। এবার পারদ নেমেছে ১৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। নভেম্বরে কলকাতার গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে। এবার তা ২১.৬ ডিগ্রি। চলতি শতকে নভেম্বরে ২১ ডিগ্রি বা তার উপরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় পৌঁছেছে মাত্র চারবার, সে তালিকায় নাম লেখালো ২০২৩।
আবহবিদরা বলছেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের প্রাচুর্যতার কারণে পারদ নামছে হয়। মৌসম ভবনের কর্তারা বলছেন, জলীয় বাষ্পর পাশাপাশি বায়ুমণ্ডলে উপরের স্তর ও মাঝারি স্তরে বারবার মেঘ ঢুকছে। ফলে তাপমাত্রা কমার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের জেরে আরও মেঘ ঢুকতে পারে বাংলার আকাশে। এছাড়াও রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। ফলে বিলম্বিত হচ্ছে শীত। ঠান্ডার কাল বিলম্বের নেপথ্যে কি প্রশান্ত মহাসাগরের এল নিনোর ভূমিকা রয়েছে, আবহাওয়াবিদরা তা খতিয়ে দেখছেন।