দেশ বিভাগে ফিরে যান

নতুন সংসদ ভবন ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’ তৈরির হিসেব দিতে চাইছে না মোদী সরকার

December 2, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে সেন্ট্রাল ভিস্তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হওয়ার পর ৩ বছরের মধ্যেই তার নির্মাণ কাজ সমাধা হয়েছিল। চলতি বছরের মে মাসে প্রধনমন্ত্রীই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেন। প্রায় ৬৫ হাজার বর্গমিটার জায়গা জুড়ে তৈরি বিশালাকার এই চারতলা সংসদ ভবন সহ সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে মোট কত টাকা খরচ হয়েছে, তা নিয়ে মানুষের মনে কৌতুহলের অন্ত নেই। কিন্তু সেই তথ্য এখনওচ পাওয়া যায় নি। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, মানুষের করের টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে, সেটা জানার অধিকার কি জনগণের নেই?

আগামী সোমবার প্রথমবারের জন্য পূর্ণ অধিবেশন বসতে চলেছে নয়া সংসদ ভবনে। আর তার আগেই এ নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধছে। কারণ, এই প্রকল্প সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন শীতকালীন অধিবেশনে জমা নেওয়া হয়নি। অন্তত প্রথম পাঁচ দিনের তালিকায় তো নয়ই। অথচ প্রশ্ন উঠছে— নয়া সংসদ ভবনের খরচ, প্রধানমন্ত্রী-উপরাষ্ট্রপতির নতুন বাংলোর জন্য ব্যয়, কিংবা সার্বিক সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প, কত টাকা খরচ করেছে মোদি সরকার? জনপ্রতিনিধিরা যদি এই জিজ্ঞাস্য সরকারের সামনে রাখেন, তাহলে কি খুব অস্বস্তি বাড়বে? না হলে এই সংক্রান্ত প্রশ্ন নিতে এত অ্যালার্জি কেন কেন্দ্রের? এমনই ক্ষোভের আঁচ বাড়ছে বিরোধী মহলে।

আরটিআই আইন, অর্থাৎ রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী সাধারণ মানুষের জানার অধিকার রয়েছে সরকারি সম্পত্তি নির্মাণে কত খরচ হয়েছে। সেই উত্তর দিতে বাধ্য সরকারও। কিন্তু মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আগেও একাধিকবার এই সংক্রান্ত প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সেই অভিযোগ আরও বড় হয়ে উঠতে চলেছে বলে খবর।

মুম্বইয়ের এক প্রবাসী বাঙালি মনোরঞ্জন রায় জানতে চেয়েছেন জনগণের করের টাকায় তৈরি নতুন সংসদ ভবনের প্রতিটি খরচের হিসেব। চেয়ার-টেবিল থেকে মাইক্রোফোন, নয়া ভবনে লাগানো জাতীয় পতাকা, রাজস্থান থেকে আসা মার্বেল, বা অন্যান্য সাজসজ্জা—প্রতিটির ‘ইনভয়েস’ চেয়েছেন মনোরঞ্জনবাবু। জবাব কিন্তু মিলছে না। গত এক মাসেরও বেশি ধরে চলছে নয়া সংসদ ভবনের খরচ সংক্রান্ত আরটিআইয়ের চিঠি চালাচালি। লোকসভার সচিবালয় জবাব এড়াচ্ছে বলেই অভিযোগ। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, তথ্য জানার অধিকার আইনে নয়া সংসদ ভবনের ওই পুঙ্খানুপুঙ্খ খরচের চিঠি একবার লোকসভার সচিবালয়, একবার নগরোন্নয়ন মন্ত্রক, একবার সিপিডব্লুডি, একবার সংসদের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট… সংসদের এই টেবিল থেকে অন্য টেবিল ঘুরে বেড়াচ্ছে। জবাব থেকে যাচ্ছে অধরাই। বিরোধীদের প্রশ্ন, এটা কি এড়িয়ে যাওয়া নয়?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Modi Government, #Central Vista, #new parliament building

আরো দেখুন