বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন, পুলিশের কাছে নানান তথ্য তলব কমিশনের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট, বছর ঘুরলেই দেশ দখলের লড়াই। দিনক্ষণ ঠিক না হলেও জোরকদমে ভোটের প্রস্তুতি চলছে। বছর ঘোরার মাসখানেক আগেই পুলিশের থেকে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করল। সর্বশেষ দু’টি লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে, নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে কোথায় কোথায় গোলমাল হয়েছিল, কতগুলো মামলা দায়ের হয়েছিল, সে’সব মামলা বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে; বিভিন্ন থানার কাছ থেকে এমন নানান তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। বুধবার সব থানাকে নির্দেশে পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বিধানসভা কেন্দ্র অনুসারে দুষ্কৃতীদের নামের তালিকা তৈরি করতে হবে। রিপোর্টে এলাকার কুখ্যাত অপরাধীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও জানাতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। লোকসভা, বিধানসভা এবং পুরভোটের দিন কোথাও কোনও মামলা দায়ের হয়ে থাকলে, তার বিস্তারত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবগারি আইনে কোনও মামলা দায়ের হয়ে থাকলে, তাও জানাতে হবে থানাকে। অস্ত্র আইনে মামলার তথ্যও দিতে বলা হয়েছে। কোনও ক্ষেত্রে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলে, সেক্ষেত্রে থানা কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল, সেই রিপোর্টও দিতে বলা হয়েছে।
লালবাজার সূত্রে খবর, ভোটের মুখে প্রতি বছরই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়। মোট অঙ্ক কোটির গন্ডি ছাপিয়ে যায়। গত কয়েকটি নির্বাচনে কত টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা নিয়ে কোনও মামলা হয়েছিল কি না, তাও জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত বিধানসভা নির্বাচনের বছর অর্থাৎ ২০২১ সাল থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত এলাকার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কত জনের থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছিল, সে’সবও জানতে চাওয়া হয়েছে পুলিশের কাছে।
থানাগুলি থেকে রিপোর্ট জমা পড়লেই, তা কমিশনে পাঠানো হবে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ জারি করবে কমিশন। রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরই বিধানসভা কেন্দ্রগুলির কোনটি কতটা সংবেদনশীল, তা নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বুথ, স্ট্রং রুম, রিটার্নিং কেন্দ্র ও ভোটযন্ত্র বিলি কেন্দ্রে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল, রাজ্য পুলিশের কত বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছিল, লালবাজারের কাছে তা জানতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সব মিলিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি আরম্ভ করেছে নির্বাচন কমিশন।