রাজ্যের মা-শিশুদের পুষ্টিযুক্ত খাবার সরবরাহের ন্যায্য প্রাপ্যে কোপ মোদী সরকারের?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এবার এ রাজ্যের মা-শিশুর পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য খাতেও কোপ বসাল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। জানা হয়েছে, এই খাতে বাংলার যত অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার কথা, বাস্তবে তার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ মিলেছে। সেটাও বিস্তর টালবাহানার পর। প্রসঙ্গত, মোদী সরকার এর আগে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পে ন্যায্য প্রাপ্য থেকে ইতিমধ্যেই বাংলা বঞ্চিত করেছে বলে অভিযোগ অনেকদিন ধরেই।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে শিশু, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও প্রসূতি মায়েদের নিয়মিত পুষ্টিযুক্ত খাবার সরবরাহ করা হয়। রাজ্যের ছ’মাস থেকে ছ’বছর পর্যন্ত বয়সের প্রায় ৭০ লক্ষ শিশু এবং ১২ লক্ষ অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও প্রসূতি প্রতিদিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে পুষ্টিযুক্ত খাবার পান। এই খাতেই রাজ্যের প্রাপ্য ছেঁটে ফেলার পাশাপাশি চলতি অর্থবর্ষে নির্ধারিত বরাদ্দের অনেক কম টাকা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ কমানোর প্রতিবাদে এবং দ্রুত বকেয়া টাকা ছাড়ার দাবিতে বারবার কেন্দ্রের কাছে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু সুরাহা হয়নি।
শুক্রবার বিধানসভায় রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন মোদী সরকার নানা কৌশলে এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কমালেও রাজ্য সরকার নিজেদের জোরেই প্রকল্পগুলি চালিয়ে যাচ্ছে।
এই কেন্দ্রগুলির কাজকর্ম নিয়ে শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্ন উঠেছিল। তারই জবাবে মন্ত্রী জানান, আধার সংযুক্তিকরণ হয়েছে এমন উপভোক্তার সংখ্যার বিচারে বাংলার জন্য ৯৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়া উচিত। রাজ্যের তরফে তা যথা সময়ে জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রকে। সেই অঙ্ক কাটছাঁট করে রাজ্যকে চলতি অর্থবর্ষে ৬৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। অথচ এ পর্যন্ত মাত্র ৩৩৭ কোটি টাকা ছেড়েছে তারা, যা প্রাপ্যের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ।
সূত্রের খবর, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি পরিচালনায় নিযুক্ত সুপারভাইজার, ডিপিও এবং সিডিপিওদের বেতন বাবদ অর্থ দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে মোদী সরকার। বর্তমানে ৩,৯২৪ জন সুপারভাইজার, ২৫৭ জন সিডিপিও এবং ২৩ জন ডিপিও বাংলায় কাজ করছেন।