‘ভোট অন অ্যাকাউন্ট’ বাজেটে কি কল্পতরু হবে মোদী সরকার?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চব্বিশের নির্বাচনের আগে ভোট অন অ্যাকাউন্ট বাজেটে কি বড়সড় চমক দেবে মোদী সরকার? অন্তবর্তী বাজেটকে জনমোহিনী করে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। শোনা যাচ্ছে, অন্তর্বর্তী বাজেটে উচ্চ হারে ইপিএফ পেনশন সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা করা হতে পারে।
বিগত বছরের নভেম্বরে ইপিএফ পেনশন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। qরায়ের জেরে গ্রাহকদের মধ্যে উচ্চ হারে প্রভিডেন্ট ফান্ডের পেনশন পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর এক বছরেরও বেশি সময় কেটে গেছে কিন্তু তা নিয়ে মোদী সরকারের কোনও হেলদোল নেই। বিগত এক বছরে একাধিক বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনও চুপ। কবে থেকে উচ্চ হারে পেনশন পাওয়া যাবে, তা নিয়ে মেলেনি উত্তর। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে টালবাহানার অভিযোগও তুলছেন গ্রাহকরা। ভোটের আগে আগামী সাধারণ বাজেটেই টার্গেট করতে পারে মোদী সরকার।
দিল্লিতে ৩১ অক্টোবর পিএফের কেন্দ্রীয় অছি পরিষদের বৈঠক ডাকা হলেও, ওই বৈঠকে নাকি ইপিএফ নিয়ে আলোচনাই হয়নি। উল্লেখ্য, অছি পরিষদের সদস্যদের কোনও বৈঠক ডাকতে হলে কর্মসূচি আগাম জানাতে হয়। সদস্যরা বলছেন, তা জানানো হয়নি। পরিষদের সদস্যরাই জানাচ্ছেন, অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হলেও ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধি, পিএফ পরিষেবা প্রদানের জন্য কোনও সংস্থার সর্বনিম্ন কর্মীসংখ্যা ২০ থেকে ১০ করা এবং পিএফ সুবিধার জন্য বেতনের অঙ্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২১ হাজার করা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।
ন্যূনতম পেনশনের অঙ্ক ১০০০ টাকা থেকে বাড়ানোর দাবি বহুদিনের। কোনও প্রতিষ্ঠানে দশজন কর্মী কাজ করলেই পিএফের সুবিধা প্রদান বাধ্যতামূলক করা হলে বহু মানুষ উপকৃত হবে। বেতনের অঙ্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২১ হাজার টাকা হলে পেনশন বাবদ এবং কর্মজীবন শেষে বেশি আর্থিক সুবিধা পাবেন অনেকেই। কিন্তু কবে এসব দাবি পূরণ হবে, তা নিয়ে ধন্দে সকলে। হয়ত ভোটমুখী বাজেটে শিকে ছিঁড়তে পারে।