একনজরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের চতুর্থ দিন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৃহস্পতিবারও লোকসভায় কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধনী) বিল, ২০২৩-এর উপর আলোচনা অব্যাহত ছিল। বিরোধী সাংসদরা যখন প্রধানমন্ত্রীর ছবির সাথে কলেজে ‘সেলফি পয়েন্ট’-এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন, তখন সরকার পক্ষ যুক্তি দেয়, এটি জাতীয় গর্ববোধকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। আলোচনায় কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্ধারিত তহবিল কাটছাট, বর্ণবাদের মতো অভিযোগ সামনে আনের বিরোধী সাংসদরা। যা প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার পক্ষ। শেষে পর্যন্ত দিনের শেষে ধ্বনি ভোটে বিলটি পাস হয়ে যায়। এদিনের মতো মুলতবি হয়ে যায় লোকসভা।
এদিন রাজ্যসভায় দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। উল্লেখ্য, এই বিষয়ে আলোচনা করা জন্য নোটিশটি দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখর যা গ্রহণ করেছিলেন।
কংগ্রেস সাংসদ এল. হনুমানথাইয়া বলেন, দেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতির সম্মুখীন। তিনি বলেন, মোদী সরকারের উন্নয়ন মডেলের জেরে ধনী আরও ধনী এবং গরীব আরও গরীব হচ্ছে।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে নির্মলা সীতারমন বলেন, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি গ্রোথ বিশ্বে সর্বোচ্চ। কারন, ভারত দ্রুত অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশে পরিণত হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্বের তৃতীয় এবং চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ জাপান এবং জার্মানির থেকেও এই মুহূর্তে ভারতের অর্থনীতির গ্রোথ বেশি।
অন্যদিকে এদিন লোকসভায় বিরোধী দলনেত অধীর রঞ্জন চৌধুরী, পশ্চিমবঙ্গ এবং তাঁর নির্বাচনী এলাকা মুর্শিদাবাদের পাট চাষীদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।
এদিন রাজ্যসভায় ছত্তিশগড়ের সাংসদ রঞ্জিত রঞ্জন ‘অ-বিধায়ক বিষয়গুলির’ (non-legislative matters) আলোচনার সময় ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিটি নিয়ে নিন্দা করেছেন। তাঁর দাবি, এই সিনেমায় দেখানো হিংস্রতা দেশের জন্য খারাপ হতে পারে। তিনি বলেন, ‘সিনেমা আমাদের সমাজের একটি প্রতিচ্ছবি… আমরা সিনেমা দেখে বড় হয়েছি এবং এটি আমাদের সকলের উপর, বিশেষ করে তরুণদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু ‘কবীর সিং’, ‘পুষ্পা’, এবং এখন ‘অ্যানিম্যাল’-এর মতো সিনেমাগুলি ইদানীং প্রকাশিত হচ্ছে যেখানে হিংসাকে মহিমান্বিত করা হচ্ছে’। রঞ্জন আরও বলেন, তাঁর মেয়ে এবং তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা অ্যানিম্যাল দেখতে বসে ‘মহিলাদের প্রতি অসম্মান’ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এবং সিনেমা হল ছেড়ে চলে যান।