ডাকঘর গড়তেও সাংসদ তহবিলের টাকা, মোদী সরকারের ভাঁড়ে কি ‘মা ভবানী’?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বারবার বলা হয় মোদী সরকারের ভাঁড়ার নাকি বাড়ন্ত! মিড ডে মিল থেকে ১০০ দিনের কাজ, সব প্রকল্পে বরাদ্দ কমছে। কিন্তু বিজ্ঞাপন চলছে দেদার। ৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে মোদী সরকারের প্রচার হয়। এবার ডাকঘর তৈরির ক্ষেত্রে এমপি ল্যাডের টাকায় টান পড়ছে, পোস্ট অফিসের বাড়ি তৈরি হবে সাংসদ তহবিলের টাকায়। কোনও এলাকায় এখন ডাকঘর তৈরি করতে গেলে সাংসদের কাছে হাত পাতবে ডাক বিভাগ।
কোনও এলাকায় নতুন ডাকঘর তৈরি করতে গেলে বা সংস্কারের জন্য যোগাযোগ মন্ত্রকের অধীনস্ত ডাক বিভাগের অনুমোদন প্রয়োজন। মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ বাজেট থেকেই অর্থ আসে। অনুন্নত কোনও এলাকায় ডাক বিভাগ সংক্রান্ত নির্মাণের প্রয়োজন পড়লে অনগ্রসর এলাকা উন্নয়ন মন্ত্রকের বাজেট থেকে টাকা। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, এখন হঠাৎ সাংসদ তহবিলের দ্বারস্থ কেন হতে হচ্ছে? কেন্দ্রের টাকার অভাব?
উল্লেখ্য, একজন সাংসদ কোন খাতে তাঁর তহবিলের টাকা খরচ করবেন, তা তাঁরই বিচার্য বিষয়। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও দপ্তরের স্থায়ী সম্পদের পুনর্গঠন বা সংস্কারের জন্য অর্থ কমিশনের বরাদ্দ থাকে। সেই টাকা খরচ করা যেতে পারে। কোনও দপ্তরের সম্পত্তি তৈরি করাও সেই দপ্তরেরই দায়িত্ব। তার জন্য আলাদা তাহবিল থাকে। যে’সব প্রকল্পগুলিতে কোনও নির্দিষ্ট দপ্তর বা খাত থেকে টাকা আনা সম্ভব হয় না বা সেই কাজের জন্য টাকা বরাদ্দ থাকে না; সেখানে এমপি তহবিলের টাকা ব্যবহৃত হয়। প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার পোস্ট অফিস আছে দেশে, যার অধিকাংশ প্রত্যন্ত এলাকায় শাখা পোস্ট অফিস হিসেবে কাজ করে। তাদের নিজস্ব অফিস থাকে না। সাব পোস্ট অফিসগুলিকে স্থায়ী ঠিকানা দেয়নি ডাক বিভাগ। তাই কি ডাক বিভাগের ভরসা সাংসদ তহবিল?