AI-র মতো প্রযুক্তিগত পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত নন ভারতীয়রা, বলছে সমীক্ষা
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই আগামী ১০ বছরে প্রায় ৯০ শতাংশ লোককে চাকরি হারাতে বাধ্য করে দেবে। এরকমটাই মনে করছেন অনেকেই। এআই এর জন্য ব্যাপক সংখ্যক কাজ যাওয়ার বিষয়টি গত বছরের নভেম্বর মাসে জেনারেটিভ এআই প্ল্যাটফর্ম চ্যাটজিপিটি চালু হওয়ার পরে আসে। যা কমান্ডে জটিল কাজগুলি পরিচালনা করতে সক্ষম এবং কর্মক্ষেত্রের একটি সম্ভাব্য নাটকীয় রূপান্তরের পূর্বাভাস দেওয়ার একটি প্রযুক্তিগত ল্যান্ডমার্ক হিসাবে দেখা হয়েছিল।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে যতটা ভীত বিশ্বের কাজের বাজার , ভারত ততটা নয়। বরং, প্রযুক্তির ব্যাপারে সঠিক প্রশিক্ষণ পেলে কর্মদক্ষতা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে ভারতীয় কর্মীদের বৃহত্তর অংশ।
কাজের বাজারের আশা ও আশঙ্কার উপর একটি সমীক্ষা চালায় শিল্প উপদেষ্টা সংস্থা পিডব্লুসি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৫১ শতাংশ কর্মী মনে করছেন, এআইয়ের মতো প্রযুক্তি তাঁদের কর্মদক্ষতা আরও বাড়াতে সাহায্য করবে। কর্মদাতা সংস্থা তাঁদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেবে এবং দক্ষ করে তুলবে। এই আশার কথা অবশ্য শোনা যায়নি বিশ্বব্যাপী। সেখানে মাত্র ৩৭ শতাংশের অভিমত, কর্মক্ষেত্রে প্রযুক্তি তাঁদের এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাকিদের ধারণা, তা তাঁদের পিছনে ফেলতে পারে।
সমীক্ষায় কর্মীদের ৬২ শতাংশ বলছে, এখন যে পেশাগত দক্ষতার সাহায্যে তাঁরা কাজ করছেন, তা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অনেকটাই বদলে যাবে। তাঁদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ জানেন, কীভাবে বদলে যাবে কর্মদাতা সংস্থার চাহিদা। তবে তাঁদের ধারণা, কর্মদাতা সংস্থা তাঁদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেবে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য গড়েপিঠে নেবে। কর্মদাতা সংস্থার প্রতি এই বিশ্বাস অবশ্য বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে ততটা নেই। সমীক্ষাটি বলছে, বিশ্বের নিরিখে ভারতের অন্তত ১৫ শতাংশ বেশি কর্মী মনে করেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ দিতে প্রস্তুত আছে কর্মদাতা সংস্থা।