পৌষমেলার প্রস্তুতির কাজ চলছে জোরকদমে, আজ হবে স্টল বণ্টন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শর্তপূরণের লিখিত আশ্বাস পেয়ে রাজ্য প্রশাসনকে পৌষমেলার মাঠ দিতে সম্মত হলো বিশ্বভারতী। খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতনে। জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে মেলার প্রস্তুতির কাজ। স্টল বণ্টন হবে অফ লাইনের মাধ্যমে।
বুধবার সকাল থেকেই পুরসভার কর্মীরা মাঠের আগাছা ও ঝোঁপ জঙ্গল পরিষ্কারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মেলার জন্য বিশ্বভারতীর সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ঠিক করা যায়নি। তাই এবছর অফলাইনের মাধ্যমেই স্টল বণ্টন করার কথা ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে সেই স্টল বণ্টন শুরু হওয়ার কথা। মেলার ভিন্ন ভিন্ন বিষয়গুলি দেখার জন্য মোট দশটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে প্রশাসন ছাড়াও পুরসভা এবং বিশ্বভারতীর আধিকারিকদেরও যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোলপুরের মহকুমা শাসক অয়ন নাথ।
শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা করার জন্য বিশ্বভারতীর কাছে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে মাঠ দেওয়ার জন্যে ১৩টি শর্ত আরোপ করে বিশ্বভারতী। ১২টি শর্তপূরণের আশ্বাস দিয়ে রবিবার চিঠির উত্তর দেন বোলপুরের মহকুমাশাসক অয়ন নাথ। তবে ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তির যে শর্ত বিশ্বভারতী দিয়েছিল, তা বিচারাধীন বলে জানিয়ে দেয় রাজ্য প্রশাসন। সেই চিঠি পেয়ে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্য প্রশাসনকে মেলা করার জন্য মাঠ দেবে বিশ্বভারতী। তারপর থেকেই কার্যত শুরু হয়ে যায় মেলার প্রস্তুতি।
বিশ্বভারতীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মঙ্গলবার একটি বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সামনেই মেলার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরুর কথা ঘোষণা করেন জেলাশাসক বিধান রায়। আর দেরি না করে এদিন সকালেই মাঠ পরিষ্কারের কাজে নেমে পড়ে বোলপুর পুরসভা। জেসিবি মেশিনের সাহায্যে মাঠ সমতল করা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা মাঠে বৈদ্যুতিকরণের কাজ শুরু করেন। মাঠ পরিদর্শনে উপস্থিত হন বোলপুরের মহকুমা শাসক অয়ন নাথ, এসডিপিও নিখিল আগরওয়াল। এছাড়া ছিলেন বোলপুর পুরসভা, শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পরিষদ ও বিশ্বভারতীর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আধিকারিকরা। সেখানে তাঁরা যৌথভাবে মাঠের ম্যাপ নিয়ে আলোচনা করেন।