বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যের কৌলিন্য ফেরাতে উদ্যোগী প্রশাসন
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যের অন্যতম ডিয়ার পার্ক বাগদার বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য। শিমুল, পলাশ, শিরীষ, অর্জুন প্রভৃতি গাছের সমারোহ এই অভয়ারণ্য প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে খুবই পছন্দের। অভয়ারণ্যের মোট আয়তন ৯৩.৭ হেক্টর। এরমধ্যে ৬৪ হেক্টর জমি হরিণদের জন্য সংরক্ষিত। এখানে মূলত চিত্রা হরিণ দেখা যায়। নব্বইয়ের দশকে এই অভয়ারণ্যে হরিণের সংখ্যা ছিল আড়াইশোর বেশি। ২০০০ সালের বন্যায় বহু হরিণ ভেসে যায়। মৃত্যু হয়েছিল অসংখ্য হরিণের। বর্তমানে প্রায় দুই শতাধিক হরিণ রয়েছে পারমাদনে।
তবে বর্তমানে বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য তার জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। একসময় এখানে প্রচুর বিদেশি পাখি, ময়ূর ও অন্যান্য বন্য জন্তু থাকলেও বর্তমানে হরিণ আর দু’একটি পাখি ছাড়া আর কিছুই নেই। উত্তরবঙ্গে বেঙ্গল সাফারি পার্ক তৈরি হওয়ার পর বিদেশি পাখি ও ময়ূর সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে প্রকৃতিপ্রেমী ও অভয়ারণ্যে ঘুরতে আসা সাধারণ মানুষের আগ্রহ অনেক কমে গিয়েছে।
অভয়ারণ্যের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি জেলা প্রশাসন ও বনদপ্তরের আধিকারিকরা এক বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে অভয়ারণ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জানা গিয়েছে, ফরেস্টের হরিণ বিচরণ ক্ষেত্রের ফেনসিং সংস্কার করা হবে। পাশাপাশি ফরেস্টের ভিতরের রাস্তার সংস্কার, সৌরশক্তি চালিত আলোর ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া অভয়ারণ্যের নিরাপত্তায় বসানো হবে আরও বেশি সংখ্যক সিসি ক্যামেরা। পর্যটকদের জন্য জঙ্গলের ভিতরে তৈরি করা হবে ওয়াচ টাওয়ার। ইতিমধ্যে পর্যটক বাড়াতে অভয়ারণ্যে প্রবেশের টিকিট মূল্য কমানো হয়েছে। শীত পড়তেই বহু মানুষ এই অভয়ারণ্যে ভিড় জমান বনভোজনের জন্য। অভয়ারণ্যে প্রবেশে এতদিন মাথাপিছু ১২০ টাকা দিতে হতো। স্থানীয়দের দাবি, মূল্য বেশি হওয়ায় মানুষ ভিতরে ঢুকতে চান না। সম্প্রতি প্রবেশ মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।