গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে ব্রিগেড ভরানো নিয়ে চিন্তায় গেরুয়া শিবির
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে গীতাপাঠের যে আয়োজন, তা সফল করতে বিজেপি-সহ বাংলার সঙ্ঘ পরিবারের সব সংগঠনই উঠে পড়ে লেগেছে। কারণ, মূল রেকর্ড তৈরি হতে পারে জমায়েতের উপরেই। লক্ষ মানুষকে ব্রিগেডে নিয়ে আসার লক্ষ্যপূরণে তাই সর্বতো ভাবে চেষ্টা চলছে। আয়োজকদের দাবি, মোট চারটি বিষয়ে বিশ্বরেকর্ড তৈরি হতে পারে। প্রথমটি, এক লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে গীতাপাঠ। দ্বিতীয়টি, ওই দিন ব্রিগেডে ৭০ হাজার মহিলা একসঙ্গে শঙ্খ বাজাবেন। সেটাও বিশ্বে অতীতে হয়নি বলেই তাঁদের দাবি। এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কণ্ঠে কাজি নজরুল ইসলামের লেখা গান গাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দাবি করা হয়েছে ৬০ হাজার জন একত্রে গাইবেন ‘হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ…’ গানটি। এটিও বিশ্বরেকর্ড তৈরি করবে বলে দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়াও একসঙ্গে প্রায় দেড় হাজার সাধুসন্ত ওই দিন ব্রিগেড ময়দান ‘শান্তি স্তোত্র’ পাঠ করবেন। এটিও নাকি বিশ্বরেকর্ড হবে।
তবে এর পিছনে রয়েছে বড় কারণ। তা হোল আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গে গেরুয়া শিবিরকে চাঙ্গা করা। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে শেষপর্যন্ত কতটা ভিড় হবে তা নিয়ে কিন্তু চিন্তায় রয়েছে বিজেপি। কারণ, তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের পাল্টা সমাবেশ আয়োজন করেছিল বিজেপি। ২৯ নভেম্বরের সেই সমাবেশে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সভার প্রচার সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে খামতি ছিল না। কিন্তু তারপরও রাজনৈতিক ‘ডিভিডেন্ট’ তুলতে পারেনি বিজেপি, মনে করছে দলেরই একাংশ। শাহের ওই সভায় আড়াই লক্ষ লোক হয়েছে বলে বিজেপি প্রচার করলেও কেন্দ্রীয় সরকারের গোয়েন্দা শাখার তথ্য বলছে, ওই দিন ধর্মতলার সভাস্থলে মেরেকেটে ৬২ হাজার লোক জড়ো হয়েছিল। আর এই কারণেই ব্রিগেডের ভিড় নিয়ে চিন্তিত গেরুয়া শিবির।
এর পাশাপাশি ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে গীতা পাঠ কর্মসূচির দিনই শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। তার একটা প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গীতাপাঠের অনুষ্ঠান কতটা সফল হয় এবং সেখান থেকে বঙ্গ বিজেপি কোনও ডিভিডেন্ট পায় কীনা সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক বিশ্লেষক।