রাম মন্দির উদ্বোধনে নেই লালকৃষ্ণ আডবানী-মুরলীমনোহর জোশী! হতবাক অনেকই
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: অযোধ্যায় রাম মন্দির আন্দোলনের অগ্রণী নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং মুরলী মনোহর যোশী। অথচ ‘ঐতিহাসিক’ দিনে তাঁরা দুজনেই উপস্থিত থাকছেন না অযোধ্যায়। নরেন্দ্র মোদী সরকারের গড়া অযোধ্যা রামমন্দির ট্রাস্টের প্রধান চম্পত রাই সোমবার এ কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ট্রাস্টের তরফেই আডবাণী-জোশীকে ২২ তারিখের অনুষ্ঠানে যোগ না-দেওয়ার বার্তা পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দু’জনেই পরিবারের প্রবীণ। তাঁদের বয়স বিবেচনা করেই না আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল, যা দু’জনেই মেনে নিয়েছেন।’’
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠন কমিটি গঠন করে। এর তিন বছর পরে জেলা আদালত মসজিদের দরজা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় এবং বিতর্কিত কাঠামোর ভেতরে হিন্দুদের আরাধনার অনুমতি দেয়। ১৯৮৯ সালে গঠিত হয় বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি। ১৯৯০ সালে তত্কালীন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি লালকৃষ্ণ আডবাণী রাম মন্দির নির্মাণে সমর্থন আদায়ে গোটা দেশে রথযাত্রায় বেরোন।
১৯৯২ সালে ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে দেয় হিন্দুত্ববাদীরা। গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ। অভিযোগ, যার মূল কাণ্ডারি ছিলেন আডবাণী। যে মামলায় এখনও আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে আডবাণীকে। তবে, সেই সব বিতর্কের পরেও রাম মন্দির আন্দোলন মানেই লালকৃষ্ণ আডবাণী। অথচ আজ তিনিই যেন ব্রাত্য। বিজেপির রাশ নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর অনুগত অমিত শাহের হাতে আসার পর থেকেই দলে ক্রমশ কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন আডবাণী। কিন্তু অনেকেরই ধারনা ছিল, রাম মন্দির বিষয়ে কিছু হলে আডবাণী তাতে থাকবেনই থাকবেন। বাস্তবে তা অবশ্য হল না।