নিরামিষ কেক দিয়েই বড়দিনের সেলিব্রেশন ইসকন মন্দির-সহ গোটা নবদ্বীপে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বড়দিনের আবহে মায়াপুরের ইসকন মন্দির হয়ে ওঠে জমজমাট। সেখানেও কাটা হয় কেক। তবে তা নিরামিষ। সেই কেক কেটেই ইসকন মন্দিরে শুরু হয় বড়দিনের সেলিব্রেশন। শুধু ইসকনই নয় বড়দিনে নবদ্বীপে ভক্তরা তাঁদের আরাধ্য দেবতাকে নিবেদন করেন ছানা বা ক্ষীরের কেক। কেউ রাধাকৃষ্ণের জন্য, কেউ গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু, কেউ বা তাঁদের প্রাণের বিগ্রহ বলদেব, গোপাল বা জগন্নাথদেবকে কেক নিবেদন করেন।
নবদ্বীপ বড়ালঘাটের এক মিষ্টির দোকানের ম্যানেজার ভাস্কর ঘোষ বলেন, প্রতি বছর এই সময় নিরামিষ ছানার কেকের ভীষণ চাহিদা থাকে। বড়দিনের এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কেজি কেক তৈরি করি। তবে বড়দিনের আগের দিন ১০০ কেজি কেক তৈরি করতে হয়। প্রতি কেজি কেক চারশো টাকা দরে বিক্রি করি। চাহিদা থাকায় বড়দিন উপলক্ষ্যে আমাদের ব্যবসাও বাড়ে।
নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দিরের অন্যতম সেবায়েত তথা বিষ্ণুপ্রিয়া সমিতির সভাপতি সুদিন গোস্বামী বলেন, মহাপ্রভু সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলতেন। অর্থাৎ সব ধর্মকে সম্মান করতে শিখিয়েছিলেন। উনি ছিলেন সাম্যবাদের প্রতীক। বড় দিনটি যিশু খ্রিস্টকে কেন্দ্র করে উদযাপন করা হলেও ওই দিন মহাপ্রভুকে ঘরোয়া ভাবে ক্ষীরের কেক তৈরি করে ভোগ নিবেদন করেন বিষ্ণুপ্রিয়ার বংশের মহিলারা। নতুন পাত্রে সুজি, ময়দা, দুধ জ্বাল দিয়ে ক্ষীর তৈরি করে কাজু, কিশমিশ সহ হরেক কেক তৈরির সরঞ্জাম দিয়ে কেক তৈরি করা হয়। তারপর বড়দিনের সন্ধ্যায় গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে সেই কেক নিবেদন করা হয়।