ক্রিসমাস ইভের রাত মানেই স্যান্টা, রূপকথা নাকি সত্য কাহিনি?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: লাল রঙের পোশাক পরা সাদা গোঁফ-দাড়িওয়ালা বুড়ো-কে আমরা সবাই স্যান্টা ক্লজ বলে ডাকি। তাঁর ঝোলায় থাকে উপহার। কীভাবে মিশে গেলেন বড়দিন আর স্যান্টা ক্লজ?
প্রচিলত কাহিনি অনুযায়ী, চতুর্থ শতাব্দীতে এশিয়া মাইনরে সেন্ট নিকোলাস নামে এক ব্যক্তি থাকতেন, তিনি ছিলেন দয়ালু। খুব কম বয়সে তাঁর মা-বাবা মারা গিয়েছিলেন। তিনি সবসময় গরিবদের সাহায্য করতেন। গোপনে তাঁদের জন্য উপহার রেখে যেতে।
একদিন নিকোলাস জানতে পারেন, এক দরিদ্রের তিন কন্যা আছে। অর্থের অভাবে তাদের বিয়ে হচ্ছে না। শুনেই তিনি সেই মানুষটির বাড়ির ছাদে উঠে চিমনিতে সোনায় ভরা ব্যাগ রেখে আসেন। সেই দিনই ওই গরিব মানুষটি মোজা শুকোতে দিয়েছিলেন চিমনিতে। হঠাৎ ওই মোজা থেকে ঘরের মধ্যে পড়ে যায় সোনায় ভরা ব্যাগ। একবার নয়, তিনবার। শেষবার ওই ব্যক্তি নিকোলাসকে দেখেছিলেন।
নিকোলাস যদিও একথা কাউকে জানাতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই কেউ কোনও গোপন উপহার পেলেই ভাবতেন, নির্ঘাৎ নিকোলাস দিয়েছেন। ধীরে ধীরে নিকোলাসের গল্প জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
পাশাপাশি, ক্রিস্টমাসে বাচ্চাদের উপহার দেওয়ার রীতি ছিল ইউরোপে। নিকোলাস হয়ে উঠলেন সেন্ট নিকোলাস বা ফাদার নিকোলাস। যিনি বরফ ঢাকা মেরু প্রদেশের বাসিন্দা। যীশু খ্রিস্টের জন্মদিনে সবার মুখে হাসি ফোটাতে আগের রাতে স্লেজ গাড়ি চেপে পৌঁছে যান ঘরে ঘরে। তাঁর স্লেজ টানে বল্গা হরিণ।
আজও ক্রিস্টমাসের আগের রাতে তাই মোজা ঝুলিয়ে রাখে অনেক খুদে। সেন্ট নিকোলাস বা সান্তা ক্লস যদি চুপি চুপি উপহার ভরে দেয় তাদের ঝোলানো মোজায়।