বিনোদন বিভাগে ফিরে যান

বড়দিনের আমেজে আরণ্যক প্রমাণ দিল ‘র‍্যাডক্লিফ লাইনে’ও সংস্কৃতির ভাগ হয়নি

December 26, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশভাগের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছিল বাংলার উপর। বাংলা যে গোটা ভারত ভূ-খণ্ডের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠতে পারে, তা বহু আগেই স্পষ্ট হয়েছিল। সে’কারণেই বাংলা ভাগের এত তৎপরতা।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: র‍্যাডক্লিফ লাইনে কেবল জমির ভাগাভাগি হয়েছে। আজও দুই বাংলার মনন ও সংস্কৃতি চর্চা যে অভিন্ন, তা ফের একবার প্রমাণ হল বড়দিনের দুপুরে। দক্ষিণ কলকাতার তপন থিয়েটার তখন দর্শকে ঠাসা। ঢাকা আরণ্যকের নাটক রাঢ়াঙ দেখতে ভিড় জমিয়েছেন মানুষ। সাঁওতালী ভাষায় রাঢ়াঙ-র অর্থ দূর থেকে ভেসে আসা মাদলের শব্দ। নাচোলের কৃষক বিদ্রোহের সমকালীন কালের কাহিনি নিয়ে তৈরি হয়েছে নাটক। অবিভক্ত বঙ্গের তিনের দশকের প্রেক্ষাপটেই তৈরি হয়েছে নাটক।

মাটির সংগ্রামের গল্প নিয়ে নাটক হলেও, তাতে উঠে এসে হাস্য রস। শাসক, শোষণ, সাম্রাজ্যবাদ ও শ্রেণী সংগ্রামের গল্পের বুনন, চিনে নেওয়া যায় অচেনা সমাজকে। নাটকের শুরুতেই দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। তপন থিয়েটারের মঞ্চ ছোট হলেও, আরণ্যক গোটা স্টেজজুড়ে মাদলের তালে তালে ফুটিয়ে তুলেছে গোটা উপস্থাপনা। এ নাটকের বড় অংশ নাচ, তাকেও সুন্দরভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। কম প্রপস ব্যবহার করেও যে নাটক সম্ভব, তা কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আরণ্যক।

নাটকের প্রতিটি দৃশ্যই দর্শকদের হাততালি কুড়িয়েছে। ওপার বাংলার জনপ্রিয় দুই অভিনেতা, চঞ্চল চৌধুরী ও অখম হাসান, জুটির বুদ্ধিদীপ্ত ও দুর্দান্ত অভিনয় বাড়তি নজর কেড়েছে।

নাটকের শেষে মামুনুর রশীদ বলেন, দেশ আলাদা হলেও মন থেকে দুই বঙ্গবাসী আলাদা হয়নি। স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে তবে আশা ভঙ্গ হয়নি। দুই বাংলার সাংস্কৃতিক মিলনের ক্ষেত্রে নাটক বড় একটা ভূমিকা পালন করে চলেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kolkata, #Aranyak

আরো দেখুন