ন’বছর পর সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ফের বাতিল বাংলার ‘কন্যাশ্রী’ ট্যাবলো
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজেও রাজনৈতিক বৈরীতার শিকার বাংলা? মোদী সরকারের কাজে অনেকটা তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। আরও একবার কন্যাশ্রী ট্যাবলো বাতিল করল তারা। ২০১৫-তে কন্যাশ্রী থিমে ট্যাবলো সাজিয়ে পাঠিয়েছিল বাংলা, তখনও বাতিল হয়েছিল রাজ্যের ট্যাবলো। ন’বছর পর চব্বিশের সাধারণতন্ত্র দিবসে কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠান থেকে আবারও বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলার ট্যাবলোকে। এবারও বাংলার ট্যাবলোর ভিত্তি ছিল ‘কন্যাশ্রী’। আগামী বছর সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লির কর্তব্যপথে থাকছে না বাংলার ট্যাবলো।
কেবল বাংলা নয়, আরও কয়েকটি অ-বিজেপি রাজ্যের ট্যাবলোও বাতিল হয়েছে। বিহার, দিল্লি, পাঞ্জাব, কেরলের মতো বিরোধী রাজ্যগুলির ট্যাবলোও আগামী ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠান থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে, বলে শোনা যাচ্ছে। কারণ কী রাজনৈতিক বিরোধিতা? রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পাওয়ার পরও কন্যাশ্রী জাতীয় মঞ্চে স্থান পায় না? উঠছে প্রশ্ন। এক দশক ধরে চলছে কন্যাশ্রী। উপকৃত হয়েছেন ৮১ লক্ষেরও বেশি উপভোক্তা, খরচ হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তারপরও এমন প্রকল্পে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে তুলে ধরা যাবে না?
প্রসঙ্গত, ট্যাবলো নির্বাচনের দায়িত্ব থাকে মোদী সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ দল। একাধিক ধাপ পেরিয়ে মেলে অংশগ্রহণের সুযোগ। এ বছর মডেল ডেমনস্ট্রেশনের জন্য আর ডাক পায়নি বাংলা। একইভাবে ২০১৫ সাল থেকে কন্যাশ্রী ছাড়াও তিনবার বাংলাকে দিল্লির কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহণ করা থেকে বাদ দিয়েছে মোদী সরকার। ২০২২ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে ট্যাবলো করতে চেয়েছিল রাজ্য। অনুমতি দেওয়া হয়নি। ২০২০ সালে ‘সেভ ওয়াটার সেভ লাইফ’ এবং ২০১৮ সালে ‘একতাই সম্প্রীতি’ বাতিল হয়েছিল। রাজ্যের শাসক দলের প্রশ্ন, এটা কি পক্ষপাতিত্ব নয়? অনেকেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখছেন এই ট্যাবলো বাতিলের নেপথ্যে।