মা সারদা ও ভীম সর্দারের স্মৃতি বিজড়িত তেলোভেলোর মাঠে এবার পর্যটন কেন্দ্র
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আরামবাগ ব্লকের বাতানল পঞ্চায়েতের দুটি গ্রাম নাম তেলুয়া ও ভেলিয়া, লোকমুখে যা তেলোভেলো নামে পরিচিত। জনশ্রুতি রয়েছে, একদা কামারপুকুর থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার পথে তেলোভেলোর জঙ্গলে ডাকাত ভীম সর্দার মা সারদার পথ আটকেছিল। তারপর মা সারদাকে কালীরূপে দেখেছিল ভীম ডাকাত। এরপর থেকে ভীম ডাকাতি ছেড়ে বাড়িতে কালীপুজো শুরু করে। ডাকাত থেকে কালীভক্ত হয়ে ওঠার গল্প আজও এলাকার মানুষের মুখে মুখে ফেরে। তেলোভেলো এখন তীর্থভূমি, মা সারদার পদধূলিধন্য তেলোভেলোতে দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন।
মা সারদা ও ভীম সর্দারের স্মৃতি বিজড়িত সেই তেলোভেলোর মাঠকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলেছে। কামারপুকুর, জয়রামবাটি ও তারকেশ্বর দর্শন করতে যাঁরা আসেন তাঁদের অনেকেই এই স্থানও ঘুরে যান। তবে অন্যান্য জায়গার তুলনায় তেলোভেলোর পরিচিতি কম।
মাঠের মধ্যেই রয়েছে শ্রী রামকৃষ্ণ-সারদা মন্দির। সেই মন্দির ঘিরেই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতি। ফাল্গুন মাসে এখানে মা সারদা মেলা হয়। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরদের সঙ্গে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠক করেছেন। রামকৃষ্ণ সারদা মন্দিরটিকে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মন্দির সংলগ্ন এলাকায় পার্ক গড়ে তোলা হবে। হুগলির পর্যটন মানচিত্রে এই কেন্দ্র স্থান পাক, এমনটাই চাইছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা। পঞ্চায়েত প্রধানের কথায়, দীর্ঘদিন ধরেই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি উঠছে। পর্যটনকেন্দ্র হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। লোকজন আসবেন, ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়লে এলাকার মানুষের আর্থিক উন্নতি হবে। পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা অত্যন্ত খুশি।