করোনার নয়া স্ট্রেনে ভয় শিশু-বয়স্কদের? কী বলছে WHO?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে করোনা। কলকাতা ও রাজ্যের নানান জায়গায় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-র খোঁজ মিলেছে। ক’দিন আগেই ৬ মাসের এক শিশুর শরীরে করোনার জেএন.১ উপপ্রজাতির খোঁজ মিলেছিল। চিকিৎসকরা বলছেন, নয়া স্ট্রেন থেকে বাচ্চা এবং বয়স্কদের বেশি সতর্কতা জরুরি। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমলেই জেএন.১ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
করোনার ভ্যাকসিন কি এই নয়া প্রজাতির সংক্রমণ ঠেকাতে পারবে? এ নিয়ে নির্দিষ্ট উত্তর এখনও মেলেনি। বাড়ির বড়দের থেকে বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সে’কারণেই বড়দের আরও বেশি করে সাবধানে থাকতে হবে। কোনও রকম উপসর্গ বুঝলেই সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেশনে থাকতে হবে।
WHO-র বক্তব্য, শিশুদের মধ্যে করোনার জেএন.১ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রুখতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন। মাস্ক পরতে হবে, হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা জরুরি, কোনও উপসর্গ দেখা দিলেই আইসোলেশনে থাকতে হবে। টানা জ্বর, শ্বাসকষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ৫ থেকে ১৮ বছর বয়স অবধি মাস্ক বাধ্যতামূলক। সার্জিক্যাল মাস্কের বদলে বাচ্চাদের নন-মেডিক্যাল তিন স্তরের ফ্যাব্রিক মাস্ক পরলে ভাল হয়। পাঁচ বছরের নীচে শিশুদের মাস্ক পরাতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
শিশুদের জন্য করোনা সংক্রান্ত বেশ কিছু গাইডলাইন দিয়েছে WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য, শিশুদের কোনও জটিল রোগ থাকলে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। শিশুদের যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকাই ভাল। গণপরিবহন যতটা পারা যায়, এড়িয়ে চলাই উচিত। শিশুদের কোভিড সংক্রমণ হলে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকা ভাল। উষ্ণ গরম জলে বাচ্চাদের গার্গল করাতে হবে, দু’বছরের বেশি বয়সি শিশুদের সকাল ও রাতে ব্রাশ করা জরুরি। হাত ধোওয়া, পারস্পরিক দূরত্ব মেনে চলার দিকে নজর রাখতে হবে। শিশুদের ডায়েটে পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে।