মহাকাল ভৈরবদেবের আগমনে জঙ্গিপুরে হয় পাঁচ শতাধিক দেবদেবীর আবাহন
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: আজ মহাকাল ভৈরবদেবের আবির্ভাব তিথি। মহাদেব শিবের যতরকম রুদ্র অবতার আছে তারমধ্যে অন্যতম একটি অবতার মহাকালভৈরব বলে মনে করা হয়। কাল শব্দের অর্থ ‘মৃত্যু’ আর ভৈরব শব্দের অর্থ ‘ছন্দ’ অর্থাৎ কালভৈরব শব্দের অর্থ মৃত্যুরদেবতা বা কালবিনাশক।
কথিত আছে ব্রহ্মার পঞ্চম মস্তক যা সমূহপাপে আক্রান্ত সেই পাপ ও মস্তক বিনাশের জন্য মহাদেবের নীলতেজ হতে মহাকালভৈরবের আবির্ভাব।
তন্ত্রশাস্ত্র মতে, দেবী মহামায়ার দশঅবতারের একটি যা ‘ভৈরবী’ নামে পরিচিত। সেই ভৈরবীর বামদিক পুরুষরুপই হলো মহাকালভৈরব। শ্মশানের অধিপতি দেবতা এই মহাকাল ভৈরব। কালী পুজোর সময় কাল ভৈরব রূপে মহাকাল শিবের পুজো করা হয়। তন্ত্রসাধক মহাকাল কে সাধনায় সন্তুষ্ট করে অলৌকিক শক্তি অধিকার করে যার ফলে ভালো ও খারাপ উভয়ের অধিকারী হয় বলে অনেকের বিশ্বাস।
জঙ্গিপুরে মহাকাল ভৈরবের সঙ্গে আজও পুজো পান পাঁচ শতাধিক দেবদেবী। কার্তিক অমাবস্যাতে মুর্শিদাবাদের সুতির বংশবাটিতে মহাকাল ভৈরবের পুজো উৎসবের চেহারা নেয়। এই পুজো ঘিরে প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতে নানান দেবদেবীর আরাধনাও হয়। মনসা ও বিশ্বকর্মা বাদে সমস্ত দেবদেবী পুজো পান। ব্রহ্মা, হরপার্বতী, দুর্গা থেকে আবার কোনও বাড়িতে সরস্বতী বা অন্নপূর্ণারও পুজো হয়। মহাকাল ভৈরবকে সম্মান জানতে সবথেকে বেশি উঁচু বিগ্রহ নির্মাণ করা হয়। একদিনের দেবতাকে বরণ করে নিতে গোটা গ্রামে এখন উৎসবের তোড়জোড় লেগে থাকে।