প্রসঙ্গ ইভিএম: বিরোধী জোটকে সময় দিল না নির্বাচন কমিশন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৯ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া জোটের মিটিং ছিল। সেখানে ইভিএমের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়। এরপর ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, ভারতের নির্বাচন কমিশনে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে একটা বিস্তারিত স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছিল। ইভিএমের ডিজাইন ও সেটা যেভাবে কার্যকরী হয় তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। কিন্তু ভারতের নির্বাচন কমিশন ওই স্মারকলিপি জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ উৎসাহ দেখায় নি।
ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইভিএমের কার্যকারিতায় নানা সন্দেহ রয়েছে। একাধিক বিশেষজ্ঞ ও পেশাগত লোকজন এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ইভিএম ইস্যুতে সন্দেহজনক কিছু বিষয় তুলে ধরতে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবকুমারের সঙ্গে দেখা করতে চারবার চিঠি দিয়েছিল ‘ইন্ডিয়া’ জোট। ৩০ ডিসেম্বর ফের চিঠি দেন কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ। শুক্রবার তার জবাব দিয়েছে কমিশন।
তবে জবাব দিলেও সময় দেওয়া হয়নি কমিশনের তরফে। উল্টে ১০ বছর আগের (২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট) নথি সামনে রেখে কমিশন জানিয়েছে, ইভিএম নিরাপদ। ভিভিপ্যাট স্লিপও হাতে দেওয়া যাবে না ভোটারদের। কমিশন জানিয়েছে, ইভিএমে ‘মাইক্রো কন্ট্রোলার কার্ড’ থাকলেও সেটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। ‘আনঅথরাইজড অ্যাক্সেস ডিটেকশন মডিউলে’ ওটি সেট করা থাকে। সামান্যতম টাম্পারের চেষ্টা হলেই এই মডিউল মেশিন অকেজা করে দেয়। সেটিতে আর ভোট করানো যায় না। চিঠির সঙ্গে একটি তালিকা তুলে ধরে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের পর থেকে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিভিন্ন দল বেশি আসন পেয়েছে। লোকসভা ভোটে কংগ্রেস এবং বিজেপির তুলনা টেনেও দেখানো হয়েছে, কে কবে কত আসনে জিতেছে।
ইন্ডিয়া জোটের তরফে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রস্তাবটা খুব সাধারণ। ভিভিপ্যাট স্লিপ যেটা বের হয় সেটা বক্সে না গিয়ে ভোটারদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। সেটা তাঁরা একটি নির্দিষ্ট বাক্সে ফেলবেন। যাচাই করে নিয়েই তারা এটা নির্দিষ্ট বাক্সে ফেলবেন। আর গণনার সময় ওই স্লিপের সবগুলি গণনা করতে হবে। এর মাধ্যমে দেশের মানুষের মধ্য়ে স্বচ্ছ ও অবাধ ভোটের ব্যাপারে আস্থা ফিরে আসবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই দাবি নাকচ করে দিল কমিশন।