টুসু পুতুল বিক্রি করে লক্ষ্মীলাভ আদিবাসীদের
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: টুসু দক্ষিণবঙ্গের পৌষ সংক্রান্তি পরবের প্রাণকেন্দ্র। সংক্রান্তির আগের সন্ধ্যায় বাড়ির মহিলারা উপোস থেকে সারা রাত ধরে গান গেয়ে টুসু বন্দনা করেন। ভোরে পুকুরে না নদীতে টুসুর বিসর্জন।
মেদিনীপুর শহরের চারপাশ, বেলপাহাড়ি, ঝাড়গ্রাম, বাকুঁড়া, পুরুলিয়ার নানা এলাকাতে টুসুকে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন লোককথা রয়েছে। কোনও গবেষকের কাছে টুসু উৎসবে গ্রাম বালিকার পুতুল খেলার প্রাধান্য বেশি, কারও মতে প্রাথমিক পর্যায়ে টুসুর কোনও মূর্তি প্রচলিত ছিল না। কালক্রমে তা চালু হয়। আবার কেউ মনে করেন টুসু নবান্ন নয়, তা আসলে আদিম জনজাতির শস্যকে পুর্নজীবন দানের উৎসব।
সামনেই মকর পরব। বিনপুর-১ ব্লকের কেঁন্দডাংরি গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই ব্যস্ত টুসু পুতুল তৈরিতে। সেই পুতুল রপ্তানি করা হচ্ছে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার সহ নানা রাজ্যে। এবছর বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় খুশি গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সারা বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ নানা সরকারি প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন মহিলারা। এর ফলে তাঁদের আর্থিক সমস্যার সমাধান হচ্ছে অনেকটাই। সরকারি প্রকল্পের টাকা জমিয়ে তাঁরা পুতুল তৈরির নানা উপকরণ ও সরঞ্জাম কিনেছেন।
কেঁন্দডাংরি গ্রামের এক টুসু শিল্পী বললেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাওয়ায় অনেকটাই উপকৃত হয়েছি। ওই টাকা ব্যবহার করে টুসু তৈরির সরঞ্জাম কিনতে পারছি। এবছর ভালোই বিক্রি হচ্ছে। এই সপ্তাহের শেষের দিকে বিক্রি আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। টুসু বিক্রির টাকা দিয়েই নতুন জামাকাপড় কেনা হবে।