‘এক দেশ এক ভোট’ ইস্যুতে আপত্তি জানিয়ে মোদীকে চিঠি মমতার
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: এক দেশ এক ভোট। এনিয়ে গোটা দেশ জুড়ে চর্চা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বার বারই এই এক দেশ-এক ভোট ধারণাকে সামনে আনার চেষ্টা করেছেন। এই এক দেশ-এক ভোট বাস্তবে কতটা সম্ভব তা খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্র ৮ সদস্যের কমিটিও তৈরি করেছে। সেই কমিটির একেবারে শীর্ষে অর্থাৎ চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
আগেই এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এ ব্যাপারে তীব্র আপত্তি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন মমতা। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, সংবিধানে কি ‘এক দেশ এক সরকারের’ নীতি অনুসরণ করার কথা বলা রয়েছে? তাঁর কথায়, ভারত একটি যুক্তরাষ্ট্র। সংবিধানে সেই শর্তের কথা রয়েছে। কোথাও এক দেশ এক সরকারের কথা বলা নেই। এই মৌলিক বিষয়টি এড়িয়ে এক দেশ এক ভোটের কথা ভাবাই যায় না।
মমতা তাঁর চিঠিতে বলেছেন, লোকসভার সঙ্গে সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট করবেন কী করে? ১৯৫২ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের সময় থেকে কিছুদিন তা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য ও জাতীয় স্তরে রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে সেই তালমিল ভেঙে গিয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, যে সব রাজ্যে পাঁচ বছরের জন্য সরকার গড়তে মানুষ ভোট দিয়েছে, এক সঙ্গে ভোট করাতে গেলে সেখানে সরকার ভেঙে দিতে হবে। তা হয় নাকি!
উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকেও সমালোচনা করেছেন তৃণমূলনেত্রী। কারণ হিসাবে তিনি বলেছেন, ভারত যেহেতু একটি যুক্তরাষ্ট্র তাই এই উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে অবশ্যই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের থাকা উচিৎ ছিল। অথচ এই কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীরা নেই।
মমতার কথায় এই ধরণের ধারনা নিয়েই আমার সন্দেহ রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা গণতন্ত্রকে কুক্ষিগত করতে চাইছে। আমি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে। তাই এই প্রস্তাবেরও বিরোধিতা করছি।
উল্লখ্য, বর্তমানে ভারতে সাধারণত লোকসভা নির্বাচন ও বিধানসভা নির্বাচন আলাদাভাবে হয়। অর্থাৎ রাজ্যের ক্ষেত্রে বিধানসভা নির্বাচনগুলো আলাদাভাবে ভিন্ন সময়ে হয়। আবার লোকসভা নির্বাচনের সময়গুলো অন্য সময়ে হয়। তবে এক দেশ, এক ভোটের ধারণাটি হল লোকসভা, বিধানসভা সব নির্বাচনই একই সময়ে হবে। এখানে কোনও ফারাক থাকবে না। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।