ভরা শীতেও গুলমার্গে বরফের দেখা নেই! উষ্ণতম বছরের নজির ২০২৩-র
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বিশ্ব উষ্ণায়নের কাঁটায় বিদ্ধ গোটা পৃথিবী। বিগত বছরের সব নজির ভেঙে উষ্ণতম বছরের তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে ২০২৩ সাল। ইউরোপিয়ান জলবায়ু সংস্থা কোপার্নিকাস জানাচ্ছে, উষ্ণতার দিক থেকে এক লক্ষ বছরের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ২০২৩। যার প্রভাব পড়েছে ভূস্বর্গে। ভরা শীতেও গোটা উপত্যকায় বরফের দেখা নেই প্রায়। গুলমার্গে ঘাসের দেখা মিলছে। স্কিয়িংয়ের মতো যাবতীয় শীতকালীন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস বন্ধ। ২ ফেব্রুয়ারি খেলো ইন্ডিয়া ন্যাশনাল উইন্টার গেমস হওয়ার কথা গুলমার্গে। কিন্তু তার আগে গুলমার্গের বরফহীন হলুদ হয়ে যাওয়া ঘাসের ছবি-ভিডিও গোটা দেশ চমকে উঠেছে রীতিমতো। শেষ কবে এমন হয়েছিল কেউই মনে করতে পারছেন না।
শীতের চেনা ছবি না দেখতে পেয়ে কাশ্মীর থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন পর্যটকরা। পর্যটন ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, অন্যান্য বছর কাশ্মীরে এই সময় তুষারপাত আরম্ভ হয়ে যায়। এবার ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তুষারপাতের কোনও পূর্বাভাস নেই। ফলে বিপাকে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
দুবাইয়ে সিওপি ২৮ শীর্ষক জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ব উষ্ণায়নকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্বন জ্বালানির ব্যবহার কমানোর শপথ নিয়েছিল বিশ্বের ১৪০টি দেশ। ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো, বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ২০২৩ সেই সীমারেখা ছাপিয়ে যাচ্ছিল। কোপার্নিকাসের রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত বছর অন্তত ১৭৩ দিন পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা শিল্পবিপ্লব শুরুর সময়ের থেকে দেড় ডিগ্রি বেশি ছিল। এমনকী দু’দিন ছাপিয়েও গিয়েছিল। জুন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর ছিল উষ্ণতম। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা, গ্রিন হাউস গ্যাস এবং এল নিনোকেই দায়ী করছেন।