নবদ্বীপে বনভোজনে মাতল গোপাল বিগ্রহ!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শীতের মরশুম মানেই চারিদিকে বনভোজনের ঘনঘটা। কিন্তু বাড়ির সবাই বনভোজনে বেড়িয়ে গেলে বাড়িতে থাকা আরাধ্য দেবতা গোপাল ঠাকুরের মন খারাপ হবে। একথা ভেবেই গোপাল ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়েই বনভোজনে মাতোয়ারা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ভক্তরা।
নবদ্বীপের প্রাচীন মায়াপুর ফার্স্ট লেনের স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন এলাকার মহিলারা তাঁদের গোপাল বিগ্রহকে নিয়ে বনভোজন করলেন। এদিন সকলে মিলে নিষ্ঠা সহকারে বিগ্রহের জন্য খিচুড়ি, আলুর দম, পাঁচ তরকারি, বিভিন্ন ভাজা, পুষ্পান্ন, ছানার রসা, চাটনি, মিষ্টি, খেজুরের গুড়ের পায়েস রান্না করলেন। এদিন গোপালের জন্য দারুণ এক বনভোজনের আয়োজন করলেন। এদিন নবদ্বীপের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভক্তরা তাঁদের বাড়ির পূজিত গোপাল বিগ্রহ নিয়ে এসে বনভোজন করলেন। প্রায় ২৫টির মতো গোপাল বিগ্রহ এই বনভোজনে দেখা গেল। এছাড়া গোপালের সেবকরাও এসেছিলেন।
কৃষ্ণ স্বয়ং সখা পরিবেষ্ঠিত হয়ে হাসি-ঠাট্টায় মজে থাকতেন বলে উল্লেখ রয়েছে শ্রীমদ্ভাগবতে। সেখানে, বৃন্দাবনে সখাদের সঙ্গে বনে গরু চরাতে গিয়ে কিশোর শ্রীকৃষ্ণ কীভাবে গাছের পাতায় পাত পেরে দুধ-দই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন সে বর্ণনা রয়েছে। সেই রীতি বুঝি এখনও চলেছে।