সাংসদ হয়েই ভোলবদল! এখন কোন বুলি আওড়াচ্ছেন অনন্ত মহারাজ?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: সাংসদ হতেই সুর নরম, গ্রেটার কোচবিহারের নেতা নগেন রায় ওরফে অনন্ত মহারাজ কি এবার ধীরে ধীরে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি থেকে সরে আসছেন? আগে যে মেজাজে কথা বলতেন, এখন তা থেকে অনেকটাই সরে এসেছেন তিনি। এখন অনন্তের কথায় বিজেপির সুর। তাতেই ভাটা পড়ছে অনন্তের জনপ্রিয়তায়। যাকে কেন্দ্র করে লোকসভা ভোটের আগে চিন্তায় বিজেপি।
সাংসদ এখন বলছেন, কোচবিহারের মানুষের দাবি আলাদা রাজ্যের। কিন্তু তাঁর নিজের মুখে এর আলাদা রাজ্যের কথা শোনা যাচ্ছে না। এ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। কোচবিহার তথা উত্তরের ভোটে রাজবংশী ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতকাল রাজবংশী ভোট নগেন রায় তথা অনন্ত মহারাজের সঙ্গেই ছিল। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যার ফসল তুলেছিল বিজেপি। অনন্ত মহারাজের গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের দাবি ছিল উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করা বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা। বিভিন্ন সভায় তিনি নিজেও এ দাবি করতেন। এই জন্যই রাজবংশীদের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ছিল।
কয়েক মাস আগে বিজেপি তাঁকে রাজ্যসভার পাঠায়। পার্টি লাইন মেনে চলায় তাঁর মুখে এখন আর আগের মতো আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবির কথা শোনা যায় না। এখন তিনি উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের কথা বলেন। তাঁর সংগঠনেও এখন ভাটার টান। রাজবংশীদের একাংশে জোর চর্চা, মহারাজ নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছেন। তাঁর পাশে থাকা রাজবংশী সাধারণ মানুষের কোনও উন্নতি হয়নি। সাংসদ হয়ে যাওয়া পর থেকে তাঁর অনুগামীদের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে কোচবিহারে গেরুয়া সাংসদ ও বিধায়করা তেমন কোনও কাজও করে দেখাতে পারেননি। মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। নির্বাচনের আগে বিজেপির অস্বস্তি শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন বঞ্চিত থাকার কারণে রাজবংশীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।