Global Warming-র জেরে পাল্টাচ্ছে বৃষ্টির চরিত্র? কী মত আবহাওয়াবিদদের?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে ২০২৩ সাল উষ্ণততম বছরের তকমা পেয়েছে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আশংকা চলতি বছর আরও উষ্ণ হতে পারে। ডব্লুএমও’র সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে প্রবল বৃষ্টি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, দাবানলের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাড়ছে। যার জেরে ক্ষয়ক্ষতি, মৃত্যু বাড়ছে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রেও প্রভাব বিস্তার করছে জলবায়ুর বদল। খাদ্যনিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রভাবিত হচ্ছে।
ডব্লুএমও’র মতে, জলবায়ু বদল রুখতে উষ্ণতা বৃদ্ধি ঠেকানোর জন্য কিছু ব্যবস্থা আশু নেওয়া প্রয়োজন। গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে। অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। আবহাওয়ার অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে, ফলে আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বাড়ছে। ২০২৩ সালে দুই এলাকায় হাফ ডজন ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে। আগে বছরে তিন-চারটি ঘূর্ণিঝড় হত। আবহাওয়াবিদরা যথেষ্ট উদ্বিঘ্ন।
বর্ষার চরিত্র পাল্টেছে, কোথাও অতিবৃষ্টি হচ্ছে, আবার কোথাও কোথাও বৃষ্টির অভাব দেখা দিচ্ছে। শীতে কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে তুষারপাত অত্যন্ত কম হয়েছে। এল নিনো ও পশ্চিম হিমালয়ের উপর ঘন ঘন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা জেরে থমকে যাবে শীত, এমনই মত আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের। ২০২৩ সালে বিশ্বের গড় উষ্ণতা বেড়ে ১.৪৫ ডিগ্রির আশপাশে পৌঁছেছে। সামগ্রিকভাবে চিন্তা বাড়ছে।