চব্বিশে শ্রীরামপুরে শ্বশুর বনাম প্রাক্তন জামাই – কল্যাণ VS কবীরশঙ্কর?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর কেন্দ্র কি শ্বশুর-জামাইয়ের দ্বৈরথের সাক্ষী থাকবে? শ্রীরামপুর আসনটি দীর্ঘদিন ধরে নিজের দখলে রেখেছে তৃণমূল, পোড়খাওয়া আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদে হুগলির এই কেন্দ্রের প্রতিনিধি। মোদী বিরোধী আন্দোলনে তাঁকে নিয়মিত সরব হতে দেখা যায়। বাংলার হক আদায়ের লড়াইতেও তিনি একেবারে প্রথম সারিতে থাকেন। একুশেও ছিলেন সামনের সারিতে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, এবারেও জোড়াফুলের টিকিটে শ্রীরামপুর থেকে কল্যাণের দাঁড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল।
অন্যদিকে, গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর; শ্রীরামপুরে তাঁরা কল্যাণের প্রাক্তন জামাই কবীরশঙ্কর বসুকে টিকিট দেওয়ার কথা ভাবছে। বছর পাঁচ-ছয় হল শ্রীরামপুরের রাজনীতিতে তাঁর উদয় হয়েছে। ২০২০ নাগাদ শ্বশুর আর প্রাক্তন জামাই রাজনৈতিক কোন্দলেও জড়িয়েছিলেন।
গেরুয়া নেতা প্রাক্তন জামাইয়ের আবাসনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভও করেছিলেন সাংসদ শ্বশুর। শুধু তাই নয় ২০১৫ সালে কল্যাণের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার মানহানির মামলা ঠুকেছিলেন কবীরশঙ্কর। তবে কি পরিবারিক কাজিয়াকে হাতিয়ার করে ফসল তুলতে চাইছে বিজেপি?
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কবীরশঙ্কর এখন শ্রীরামপুরে থাকছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান পরিবৃত অবস্থায় তাঁকে ঘোরাফেরা করতে দেখছেন শহরবাসী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুরে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন কবীরশঙ্কর। তবে কল্যাণ তখনও শ্রীরামপুরের তৃণমূলের প্রার্থী চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়ের হয়ে গলা ফাটিয়েছিলেন।
চব্বিশে লোকসভা নির্বাচনের ময়দানে শ্বশুর- প্রাক্তন জামাইয়ের লড়াই দেখা যাবে কি না, তার উত্তর দেবে সময়।