রতন টাটা, আম্বানি, কিং খানদের KYC ফাঁসের দায়ে কাঠগোড়ায় মোদী সরকার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কতটা নিরাপদ আম জনতার ব্যক্তিগত তথ্য? মোদী আমলে বারবার ফাঁস হয়েছে দেশবাসীর একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য। রেহাই পাচ্ছেন না তারকারাও। ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস থেকে রান্নার গ্যাসের সংযোগ, মোদী আমলে সবেতেই কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক। কিন্তু সরকারের তথ্য ভাণ্ডারে থাকা নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য কতটা নিরাপদ? উঠছে প্রশ্ন। সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ‘হ্যাক্রিউ’-র নয়া রিপোর্টে প্রকাশ্যে এল বিস্ফোরক অভিযোগ। তাদের দাবি, মোদী সরকারের কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে ‘ফাঁস’ হয়েছে দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতিদের আধার ভিত্তিক কেওয়াইসি সংক্রান্ত তথ্য।
কে নেই তালিকায়! শিল্পপতি রতন টাটা, মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানি, বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান, ভারতীয় ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো তারকাদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে। সম্প্রতি রিপোর্টে এমনই করেছে সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা। ‘হ্যাক্রিউ’-র কর্তা সাই কৃষ্ণা কোথাপল্লির দাবি, মোদী সরকারের পোর্টালে জমা থাকা কেওয়াইসি তথ্যে কোনও নিরাপত্তা ছিল না। প্রায় ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে কার্যত খোলা বাজারে পড়েছিল শিল্পপতিদের ব্যক্তিগত তথ্য।
শিল্পপতিদের তথ্য পেশ করতে হয় মন্ত্রকের এই পোর্টালের মাধ্যমেই। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৯৮ লক্ষেরও বেশি ডিরেক্টরের তথ্য মজুত থাকে পোর্টালে। সেই তথ্যভাণ্ডার ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। হ্যাক্রিউ-র দাবি, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিষয়টি নজরে আসার পর সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমকে ইমেল মারফত তারা জানিয়েছিল। ত্রুটির কথা স্বীকার করে নেয় তারা। কিন্তু সমাধান খুঁজতে বছর ঘুরে যায়। প্রায় এক বছর যাবৎ দেশের প্রথম সারির শিল্পপতি, খেলোয়াড়, অভিনেতাদের পেশ করা ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তাহীন ভাবে পড়েছিল। আধার, প্যান, ইমেল ও ভোটার আইডি, ফোন নম্বর, ঠিকানার মতো বিভিন্ন তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। গত বছর শচীন তেন্ডুলকর, এমএস ধোনিদের প্যান নম্বর ব্যবহার করে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। তার নেপথ্যে কি এই ফাঁসের যোগ আছে?প্রশ্ন উঠছে। এ দেশে বারবার ঘটে যাওয়া ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া রুখতে সফ্টওয়্যার টেস্টিং অ্যান্ড কোয়ালিটি সর্টিফিকেশন, সার্ট-ইন বা ইউআইডিএআইয়ের মতো সংস্থাগুলি ডাহা ফেল করেছে। বছর খানেক সময় নিয়েও সমাধান ঠিক মতো খোঁজা কি না, তা নিয়েও সন্দেহ থাকছে।