অ্যান্টিবায়োটিকের লাগামছাড়া ব্যবহার রুখতে বাংলাকে অনুসরণ কেন্দ্রের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অ্যান্টিবায়োটিকের লাগামছাড়া ব্যবহার রুখতে রাজ্য সম্প্রতি ৯০ পাতার এই নির্দেশিকা দিয়েছে। বহুল ব্যবহৃত ৫০টি অ্যান্টিবায়োটিক কখন, কোথায়, কীভাবে ব্যবহার হবে—সবটাই বলা হয়েছে সেখানে। শুধু তাই নয়, প্রায় ৩০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে আনা হয়েছে কঠোর বিধি। স্পষ্ট ভাষায় বলে দেওয়া হয়েছে, এসব অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের আগে লিখিতভাবে কারণ জানাতে হবে। নয়তো কেন ব্যবহার করা হয়েছে, সেই নোট পরে লিখে দিতে হবে প্রেসক্রিপশন সহ চিকিৎসার কাগজে।
এবার অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নিয়ে বাংলা যে-পথ দেখাল, সেই পথেই হাঁটল মোদী সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শীর্ষকর্তা তথা ডিরেক্টর জেনারেল হেলথ সার্ভিস ডাক্তার অতুল গোয়েল এমাসে দেশের সব মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের একটি জরুরি নির্দেশ পাঠিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, ভারতের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের অ্যান্টিবায়োটিক লেখার কারণ জানাতেই হবে প্রেসক্রিপশনে। অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, শুধু ২০১৯ সালেই ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট সংক্রমণের জন্য প্রায় আধ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসাশাস্ত্র আজ বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। এই কারণে অ্যান্টিবায়োটিকের লাগামছাড়া এবং অতিরিক্ত ব্যবহার যেভাবেই হোক বন্ধ করতে হবে। যেকোনও অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশনে লিখলে, কেন তা লেখা হচ্ছে, তা জানাতে হবে।
ডাক্তার গোয়েল বলেছেন, বিষয়টি এমনই জায়গায় চলে গিয়েছে যে বহু মানুষের সংক্রমণ সারতেই চাইছে না। তাদের ক্ষেত্রে পরবর্তী প্রজন্মের আরও দামি ওষুধ ব্যবহার করতে হচ্ছে। দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলি শুধুমাত্র চিকিৎসার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান নয়, ভাবী চিকিৎসকদেরও তৈরি হওয়ার জায়গা। তাই অ্যান্টিবায়োটিকের উপযুক্ত ব্যবহার করে তাঁদেরই পরবর্তী প্রজন্মের কাছে উদাহরণ তৈরি করা উচিত।