‘ইনসুলিন’ গাছের চাষ শুরু করছে নরেন্দ্রপুরের কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ডায়াবিটিস একটি জটিল রোগ।এই রোগে আক্রান্ত হলে গোটা জীবনই এই সমস্যাকে সঙ্গে নিয়ে কাটিয়ে দিতে হয়। এই অসুখে আক্রান্ত মানুষকে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় আনতে হয় পরিবর্তন। এই পরিবর্তন হওয়ার পরই মানুষটি ভালো থাকতে পারেন।
ডায়াবিটিসের চিকিৎসার জন্য বিজ্ঞানীরা উঠে পড়ে লেগেছেন। নিত্যনতুন গবেষণা রোজই সামনে আসছে। বের হচ্ছে ওষুধ। তবে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলেও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে এনসিবিআই-এর রিপোর্ট বলছে, ইনসুলিন প্ল্যান্ট। সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী হতে পারে।
ইনসুলিন প্ল্যান্ট বা কোস্টাস ইগনাস গাছটি কোস্টাসিয়া গোষ্ঠীর। আর এই গাছ আপনার সুগার কমাতে পারে বলেই বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ভালো পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই সব মিলিয়ে রক্তে সুগার কমাতে পারে এই গাছ।
এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় চাষ করার পরিকল্পনা করেছেন নরেন্দ্রপুরের কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যাপকরা। তাঁদের দাবি, এই চাষ সফল হলে আগামীদিনে অনেক ডায়াবেটিক উপকৃত হবেন।
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে যে মেলা শুরু হয়েছে, সেখানে এই গাছের একটি নমুনা প্রদর্শিত রয়েছে। ব্রাজিলে সেটা ঢালাও পাওয়া গেলেও, দেশের মধ্যে পুনে এবং দক্ষিণ ভারতের কিছু রাজ্যে এই গাছের চাষ সবে শুরু হয়েছে। তাই এবার পরীক্ষামূলকভাবে নরেন্দ্রপুরেও সেই কাজই করতে উদ্যোগ নিচ্ছেন রাণাপ্রতাপ চট্টরাজ, সৌরেন্দ্রনাথ দাস এবং বিপ্লব পাল নামে তিন অধ্যাপক। এই গাছের উপকারিতা সম্পর্কে তাঁরা বলেন, এটি ফায়ারি কোস্টাস বা সর্পিল পতাকা নামে পরিচিত। পূর্ব ব্রাজিলের কোস্তেসি পরিবারের একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এর পাতাগুলি শুকিয়ে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করা হয়। এছাড়াও কেউ চাইলে, এই শুকনো পাতা লিকার চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারবেন।