সরকারি কর্মীরা কাজে ফাঁকি দিলে বেতন থেকে ২৫০ টাকা কাটা যাবে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সরকারি পরিষেবা পেতে যাতে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা না হয় সেই জন্য আগেই কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে। কাজের ভিত্তিতে কোনও কর্মী যদি সঠিক মাপকাঠি পূরণ করতে না পারেন সেক্ষেত্রে ‘টার্মিনেশন’-এর পথেও হাঁটতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে এ ব্যাপারে এক প্রস্ত রাগারাগি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছেন, এ ব্যাপারে সরকারের যে সার্ভিস রুল রয়েছে তা কঠোর ভাবে বাস্তবায়িত করতে।
সূত্রের খবর, যদি সরকারি কর্মীরা কাজে অসহযোগিতা করে বা কোনওভাবে তাঁদের জন্য সাধারণ মানুষের পরিষেবা পেতে দেরি হয় তাহলে টাকা কাটার কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী শীর্ষ আমলাদের বলেছেন, নিয়ম রয়েছে যে সরকারি কর্মচারীরা পরিষেবা দিতে একদিন দেরি করলে, বা কোনও সরকারি কর্মচারীর জন্য সাধারণ মানুষ পরিষেবা পেতে এক দিন দেরি হলে তাঁর বেতন থেকে ২৫০টাকা কেটে নেওয়া যাবে। এতদিন সেই নিয়ম থাকলেও সরকার তা কার্যকর করেনি। এবার কঠোর ভাবে তা কার্যকর করা হোক।
টার্মিনেশনের করতে যেমন সেন্ট্রাল সার্ভিস রুলের ৫৬জে ধরার মতো স্টেট সার্ভিস রুলেও নিয়ম চালুর প্রয়োজন। একইভাবে বেতন থেকে ২৫০ টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়টি কীভাবে কার্যকার করা হবে, তা নিয়েও জোর জল্পনা শুরু হয়েছে কর্মচারীদের মধ্যে। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা না দিলে কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছেন এক শ্রেণির রাজ্য সরকারি কর্মী। এই পরিস্থিতিতে বেতন কাটার বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।