ভিডিও গেমের নেশা ডেকে আনছে কোন বিপদ? কী বলছেন চিকিৎসকরা?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ভিডিও গেমের নেশায় মত্ত কচিকাঁচারা। প্রাইমারি স্কুল পড়ুয়া থেকে সদ্য হাইস্কুলে পা রাখা বাচ্চাদের মধ্যে জাঁকিয়ে বসেছে ভিডিও গেমের নেশা। কানে ইয়ারফোন আর হাতে মোবাইল, একোবারে নিজেদের জগৎ গড়ে নিচ্ছে বাচ্চারা। ভিডিও গেমের জগতে ডুবে দিয়ে কেটে যাচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা সময়। সর্বত্র একই ছবি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, লাগাতার ভিডিও গেমের নেশা শিশু, কিশোর, যুবসমাজকে চিরতরে বধির করছে।
১৭ জানুয়ারি নিজেদের ‘নিউজ’ সেকশনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা। গোটা পৃথিবীতে প্রায় ৫৩ হাজার ৮৩৩ জনের উপর ১৪টি ক্ষেত্রে সমীক্ষা করা হয়েছে। ভিডিও গেমের নেশার মারাত্মক ফলাফল উঠে এসেছে তাতে। হেডফোন বা ইয়ারফোন নিয়ে ভিডিও গেম খেলার সময় শব্দসীমা ৪৩.২ ডেসিবেল থেকে বেড়ে ১১৯ ডেসিবেলেও পৌঁছে যাচ্ছে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যা সহনীয়মাত্রার চেয়ে অনেকটাই বেশি।
বধিরতা ও ভিডিও গেমের সম্পর্ক নিয়ে ছ’টি বিভাগে সমীক্ষা করা হয়। বাড়ির ব্যক্তিগত কম্পিউটার রুম বা গেমিং সেন্টারের প্রভাব নিয়ে চারটি সমীক্ষা হয়েছে। শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা জানিয়েছে, গেম খেলার পর থেকে কানে কম শুনছে তারা। স্কুলের গেমিং সেন্টারে গেম খেলে খেলে দুই কানেরই শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনকী, কানে শোঁ শোঁ শব্দ শোনার সমস্যায় ভুগছে কেউ কেউ।
চিকিৎসকরা বলছেন, শোনার সমস্যা রয়েছে এমন রোগী নিয়মিত পাচ্ছেন।
ভিডিও গেমের নেশায় বাচ্চাদের শ্রবণশক্তির স্থায়ী ক্ষতি হচ্ছে। কানের নার্ভ নষ্ট হচ্ছে, যা কোনওভাবেই ঠিক হয় না। চীন, কোরিয়ার মতো দেশগুলি ভুক্তভোগী। তারা মুক্তির পদক্ষেপ করছে। কম্পিউটার বা মোবাইলে এমন ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, যাতে নির্দিষ্ট সময়সীমার পর গেম খেললেই ‘ডিজিটাল শক’ খাবে ব্যবহারকারী। ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ও শুরু হয়েছে চীনে। ভারতকেও সেই পথেই হাঁটতে হবে।