কনকনে ঠান্ডার আঁচ পড়ল বইমেলাতেও
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে কলকাতা। সোমবার শীতলতম দিনের সাক্ষী থাকল তিলোত্তমা। রাজ্যে উত্তুরে ঠান্ডা বাতাস ঢুকতে শুরু করায় পারদ হু হু করে নেমেছে। সোমবার তিলোত্তমায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি, যা কি না স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি নীচে। সে আঁচ রীতিমতো পড়ল বইমেলাতেও।
মেলামাঠ ভরে গিয়েছিল রং-বেরঙের শীতপোশাকে। একনজরে দেখলে মনে হচ্ছিল যেন, দার্জিলিংয়ের ম্যাল। কেউ তালুতে তালু ঘষছেন। কেউ পাউট করে নকল ধোঁয়া ছাড়ার চেষ্টা করছেন ঠোঁট দিয়ে। শীতে দার্জিলিং গিয়ে যেমন বাল্যখিল্যপণায় মেতে ওঠে আপামর বাঙালি। সোমবার তেমনই কিছু ঝলক উপহার দিল বইমেলা।
দুপুর আড়াইটে। দোকানি, সংগঠক এবং কয়েকটি ইনস্টিটিউটের স্টলে ছাত্রছাত্রীরা বাদ দিলে মেলামাঠে মাত্র হাজার খানেক মানুষ। শনি ও রবিবার ছুটির দিন ছিল বলে ঠাসা ভিড় হয়েছিল। সোমবার কাজের দিন বলে সম্ভবত ভিড় বেশ কম। আজ, মঙ্গলবার নেতাজি জয়ন্তী বলে আবার একটি বাড়তি ছুটির দিন মিলেছে। ফলে আজ আবার ভিড় হবে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা। সোমবার আড়াইটে নাগাদ মিঠে রোদ শরীরে লাগছে। ইতিউতি অলস পদচারণা সবার। কারও উলের লং কোট বেশ দামি। কারও গায়ে স্টাইলিশ ক্যুইল্টেড জ্যাকেট। একটু বয়স্করা সোয়েটার, কার্ডিগানের সঙ্গে গায়ে চড়িয়েছেন শাল, চাদরও। মেলায় ঢুকেই চায়ের স্টল খুঁজেছে ঠান্ডায় জবুথবু জনতা। শীত বেশি পড়লে দার্জিলিং বা মুসৌরির মতো শৈলশহরের ম্যালে ভিড় থাকে কম। পর্যটকরা জড়োসড়ো হয়ে বসে থাকেন। এদিন বইমেলাও তেমনই জড়োসড়ো হয়েই ইতিউতি ঘুরল।