কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

শতাব্দী প্রাচীন স্বাধীন ভারত হিন্দু হোটেল ও খাদ্যরসিক নেতাজির অজানা কাহিনি

January 23, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: আজ চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি নেতাজির জন্মদিন। বাঙালির আবেগের অপর নাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। আজও তাঁকে নিয়ে অনির্বাণ উৎসাহে একফোঁটাও ভাঁটা পড়েনি। কেমন ছিলেন ভোজনরসিক সুভাষ চন্দ্র? জানা যায়, কলেজ স্ট্রিটের সে দিনের হিন্দু হোটেল আজ ‘স্বাধীন ভারত হিন্দু হোটেল’। তখন প্রেসিডেন্সি কলেজের উজ্জ্বল ছাত্র নেতাজি প্রায়ই দুপুরে ভাত খেতে আসতেন এখানে। ভালবাসতেন পুঁইশাকের চচ্চড়ি এবং মুড়িঘণ্ট। আর তাঁকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে ইতিহাসের বহু অধ্যায়।

আজ দোকানে গেলে দেখবেন, ফুল-মালায় সেজে উঠেছে হোটেল। বহু বছরের পুরনো নেতাজির ছবিতে রজনীগন্ধার মালা পরানো হয়েছে। এদিন ক্রেতারা যাই অর্ডার দিন না কেন, তাঁদের থালার এক কোণায় থাকবে পুঁইশাকের চচ্চড়ি। পুঁইশাকের চচ্চড়ির জন্য আলাদা করে কোনও টাকা দিতে হবে না। বহু বছর ধরেই এমনটা হয়ে আসছে। প্রতি বছর নেতাজির জন্মদিনের দিন এই হোটেলে আসা সকল ক্রেতাকে বিনামূল্যে পুঁইশাকের চচ্চড়ি ও মিষ্টি দেওয়া হয়।

১৯১২ সালে কটকের মনগোবিন্দ পান্ডা এই হোটেল তৈরি করেন, যদিও সে’সময় নাম ছিল ‘হিন্দু হোটেল’। স্বাধীনতা লাভের পরেই হোটেলের নাম বদলে হল ‘স্বাধীন ভারত হিন্দু হোটেল’। ব্রিটিশ ভারতে এই হোটেল ছিল স্বদেশীদের ডেরা। ব্রিটিশ পুলিশদের তল্লাশির সামনে একাধিকবার রুখে দাঁড়িয়েছিলেন মনগোবিন্দ। কটক থেকে কলকাতায় এসে হোটেল খুলেছে কেউ, শুনেই নেতাজি প্রথম এখানে এসেছিলেন। তারপর এই হোটেলের খাবারের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। অল্প দিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছিল হোটেল। স্বাধীন ভারত হিন্দু হোটেলের গরম ভাত, পাতলা মাছের ঝোল আর পুঁইশাকের চচ্চড়ির স্বাদ নেতাজি কোনওদিন ভোলেননি। ১৯৩০ সালে কর্পোরেশনের মেয়র হওয়ার পরেও এই হোটেলে বসে খেয়েছিলেন তিনি। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকেও এখানে খাওয়াতে নিয়ে এসেছিলেন। এখন মনগোবিন্দর তৃতীয় প্রজন্ম স্বাধীন ভারত হিন্দু হোটেল সামলাচ্ছে। অন্তরের আবেগ ও শ্রদ্ধার সঙ্গে তারা নিজেদের মতো করে নেতাজি জয়ন্তী পালন করে চলেছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#swadhin bharat hindu hotel, #Netaji Subhas Chandra Bose, #netaji, #birth anniversary

আরো দেখুন