অযোধ্যার অনুষ্ঠান সম্প্রচার নিয়ে তপ্ত যাদবপুর ক্যাম্পাস
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অশান্তির সম্ভাবনা ছিলই। কারণ, অতিবামের পীঠস্থান বলে পরিচিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাম পুজোর আয়োজন করা হচ্ছিল! এমনকী একদল পড়ুয়া অযোধ্যায় যে অনুষ্ঠান হবে সেই অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার করার ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই সম্ভাবনাই বাস্তাবায়িত হল সোমবার। অশান্তি আটকানো গেল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর ক্যাম্পাস। বাম ছাত্র সংগঠনের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এদিন মিছিল করবে বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মী, সমর্থকরা।
এবিভিপি সমর্থিত পড়ুয়ারা এদিন গান্ধীভবনে সম্প্রচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। চার নম্বর গেটের সামনের পার্কিংয়ে পুজো, যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। তবে, এসএফআইয়ের নেতৃত্বে বাম সমর্থক ছাত্রছাত্রীরা তাতে বাধা দেওয়াতেই সংঘাতের সৃষ্টি হয়। এবিভিপির দাবি, তাদের সদস্যদের মারধর করা হয়েছে। জখম হয়েছে তাদের আটজন কর্মী। বাম ছাত্রদের তরফেও আহত হয়েছে আরও ছয়-সাতজন।
রবিবারই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, একাধিক পরীক্ষা থাকায়, এরকম কোনও উদ্যোগ ক্যাম্পাসে নেওয়া যাবে না। উদ্যোক্তারা অবশ্য তা সত্ত্বেও কর্মসূচি স্থগিত রাখেনি। গেরুয়া ঝান্ডা, জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে সকাল থেকেই সরগরম ছিল ক্যাম্পাস। এদিকে, পাল্টা তৈরি ছিল বাম সমর্থক ছাত্রছাত্রীরা। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। দলে ভারী বামেদের কাছে খানিক পিছিয়ে পড়েন এবিভিপির সমর্থকরা। তাঁরাই বেশি মার খান। তবে, দু’দলের সমর্থকই জখম হয়েছেন। দু’পক্ষকে সামলাতে আসরে নামেন অধ্যাপক, নিরাপত্তাকর্মীরাও। দু’পক্ষের মধ্যে পড়ে হেনস্তা হতে হয় সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্তকেও। তিনি খানিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। খানিক আহত হন সিকিওরিটি অফিসার মুকুল দাসও। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু গোটা ঘটনাকেই অনভিপ্রেত বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর বক্তব্য, কর্মসূচি না নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও, উদ্যোক্তারা তা শোনেননি। এর ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে।
সন্ধ্যায় এইট-বি থেকে এসএফআইয়ের একটি মিছিল ঢাকুরিয়া ব্রিজের উদ্দেশে রওনা দিতে চায়। পুলিস প্রথমে তাদের বাধা দেয়। তবে, পুলিসি বাধা ঠেলেই এগতে যান মিছিলকারীরা। এতে ধস্তাধস্তি বাধে। শেষ পর্যন্ত মিছিল লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছয়।