মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ডার্বি ম্যাচ খেলাতে চান শিলিগুড়ির কণিকা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শিলিগুড়ির শালুগাড়ার কণিকা বর্মন। শৈশবে খেলাধুলোর প্রতি কোনও আগ্রহই ছিল না। মাঠে যেতে চাইতেন না বলে বাবার কাছে মারও খেয়েছেন প্রচুর। ১৬ বছর বয়সে অ্যাথলেটিক্স ছেড়ে ফুটবলে চলে আসেন। খেলতেন স্ট্রাইকার হিসেবে। স্বপ্ন দেখতেন ভারত ও বাংলার হয়ে খেলার। শিলিগুড়ি ছেড়ে কলকাতায় চলে এসেছিলেন ফুটবলের টানেই। খেলতেন পুলিশ দলের হয়ে।
অথচ ফুটবল ছেড়ে কণিকা রেফারি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উপেক্ষার যন্ত্রণা থেকে। ভাল খেলা সত্ত্বেও বাংলা দলের ট্রায়ালে ডাক না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। প্রাক্তন রেফারি ও বর্তমানে কলকাতা রেফারি সংস্থার সচিব উদয়ন হালদারের উৎসাহে শুরু করেন রেফারিং। অল্প দিনের মধ্যেই নজর কেড়ে নেন।
নতুন জীবনের শুরুতেও নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন কণিকা। শিকার হয়েছেন কটাক্ষেরও। তবুও লড়াই ছাড়েননি বঙ্গ কন্যা। বাঁশি মুখে যে ভাবে কড়া হাতে ম্যাচ পরিচালনা করেন, সে ভাবে সমস্ত বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে চলেছেন।
বছর চারেক আগেই ফিফা রেফারি হয়েছেন। গত বছর এএফসি ‘এলিট প্যানেল’-এ নির্বাচিত হন তিনি। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলান ২০২২ সালে অনূর্ধ্ব-২০’র মহিলাদের এএফসি কাপে। কণিকার এখন লক্ষ্য মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ডার্বি ম্যাচে বাঁশি বাজানো। কণিকা বলেন, মোহনবাগান-মহমেডান ম্যাচ খেলিয়েছি। ছোট দলের সঙ্গে তিন প্রধানের অনেক ম্যাচ খেলিয়েছি। তবে ডার্বি ম্যাচ করাটা কঠিন। নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করছি। কেননা, রেফারি হিসেবে আন্তর্জাতিক স্তরে আরও বেশি ম্যাচ খেলানোর স্বপ্ন রয়েছে। সেই স্বপ্নপূরণের প্রস্তুতির জন্য কলকাতায় সংসার পেতেছেন শিলিগুড়ি সালুগাড়ার কণিকা।