প্রিয়াঙ্কা বা দীপিকা নন – ইনিই ভারতের সবচেয়ে ধনী অভিনেত্রী
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন বিশ্বের অন্যতম সুন্দরী মহিলা। তিনি একজন ব্যতিক্রমী অভিনেত্রী, যিনি তাঁর মায়াবী হাসি এবং নীল চোখের কিলার এক্সপ্রেশন দিয়ে যে কাউকেই দুর্বল করে দিতে পারেন। বছরের পর বছর ধরে অনেক স্বীকৃতি অর্জন করেছেন ঐশ্বরিয়া। তাঁর জনপ্রিয়তার কোনও সীমা নেই। সিনেমা এবং প্রজেক্ট ছাড়াও, অনেক নামী ব্র্যান্ডের মুখ এই অভিনেত্রী। এছাড়াও বিদেশের মাটিতে অনেক টিভি শো-তে অতিথি হিসাবেও দেখা যায় তাঁকে।
ঐশ্বরিয়া তাঁর সৌন্দর্যের জন্য সুপরিচিত। সম্প্রতি সিয়াসতের (Siasat) এক রিপোর্ট অনুযায়ী, বলিউডের সবচেয়ে ধনী অভিনেত্রী হয়েছেন ঐশ্বরিয়া রাই। সব প্রজেক্ট আর ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট নিয়ে ঐশ্বরিয়ার মোট সম্পদের পরিমাণ ৮২৮ কোটি টাকা।
তাঁর পরে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, দীপিকা পাড়ুকোন, কারিনা কাপুর খান, অনুষ্কা শর্মা, মাধুরী দীক্ষিত, ক্যাটরিনা কাইফ, আলিয়া ভাট, শ্রদ্ধা কাপুর এবং নয়নতারা। অর্থাৎ ঐশ্বরিয়া পিছনে ফেলে দিয়েছেন প্রায় সব নামী অভিনেত্রীকে।
সারাজীবন খুবই তাঁর পছন্দসই ছবিতে কাজ করছেন ঐশ্বরিয়া। তাঁর অভিনীত ৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্র রয়েছে। সিনেমায় কাজ করেছেন মুম্বই, দক্ষিণ ভারত এবং বাংলাতেও।
ঐশ্বর্যের সুপারহিট ছবির সংখ্যা অগণিত, এর মধ্যে ১৯৯৯ সালে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমাটি রাই-এর কেরিয়ারের মাইলস্টোন বলে অনেকে মনে করেন। ২০০২ সালে ‘দেবদাস’ সিনেমায় সেরা অভিনেত্রীর শিরোপা পান ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
এছাড়াও তাঁর অন্যান্য সেরা সিনেমার তালিকা বিশেষশ উল্লেখযোগ্য ‘যোধা আকবর’, ‘গুরু’ থেকে শুরু করে ‘ইরুভার’, ‘পোন্নিয়ন সেলভান’। সম্প্রতি তাঁর অভিনীত ছবি ‘পোন্নিয়ন সেলভান’ বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। শুধু বলিউডে নয়, হলিউডে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
খুব অল্প বয়সে বিশ্ব সুন্দরী হয়েছেন তিনি। ১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় সেরার মুকুট পান ঐশ্বর্য রাই। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে বিশ্ব সুন্দরীর মঞ্চ জয়ের ধারা বজায় রাখেন তিনি। এছাড়াও আমির খানের সঙ্গে একটি সফট ড্রিঙ্কসের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি।
২০০৯ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান পান ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। ফ্রান্স সরকারের তরফেও সম্মানিত করা হয় তাঁকে। কান ফিল্ম ফেস্টিভালে জ্যুরি হিসাবে দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে।