৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, কী করবেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হার্ট অ্যাটাক মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন হিসেবে পরিচিত। এটি একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি। সাধারণত, হার্টের রক্তনালিতে ব্লক তৈরি হয়ে রক্ত চলাচল মারাত্মক অথবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক হয়। এ সময় হার্টের মাংসপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিভিন্ন রকম জটিলতা সৃষ্টি হয়।
যেকোনো বয়সে এবং যে কেউ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে পারেন। সাধারণত, বয়স্ক মানুষ ও পুরুষদের এর প্রবণতা বেশি। তবে নারীরাও বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের বাড়তি ঝুঁকিতে থাকেন। যাঁরা ধূমপান করেন, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরলজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ঝুঁকিও বেশি। পরিবারে আগে হার্টের রক্তনালির সমস্যা বা ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ থাকলে পরিবারের অন্যদের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
গত কয়েক বছরে, ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ক্রমবর্ধমান ঘটনাগুলি রিপোর্ট করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভাসের কারণে হৃদরোগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এবং করোনা মহামারী এসব সমস্যার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে আমাদের বেশিরভাগের জীবনযাত্রার কারণে কেবল হার্টের সমস্যাই নয়, এটি ডায়াবেটিসের মতো আরও অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে। এছাড়াও ফুসফুসের সমস্যা এবং বিপাকীয় সিন্ড্রোমের ঝুঁকি বাড়ায়। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে এমন ব্যবস্থাগুলি সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকা সকল মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ধূমপান ত্যাগ করা, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করা, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড পরিহার করা, যথাসম্ভব দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপমুক্ত থাকা ইত্যাদি অভ্যাসের মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ ছাড়া নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করানো, চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চলা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হলে ঝুঁকি কমানো সম্ভব।