রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বাঙালির গৌরবগাথা, বিস্মৃতির অতলে বেঙ্গল প্রভিন্সিয়াল রেল

January 27, 2024 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পরাধীন ভারতে বাঙালির গৌরবের সাক্ষী বেঙ্গল প্রভিন্সিয়াল রেল, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্নেহধন্য অন্নদাপ্রসাদের উদ্যোগে চালু হয়েছিল এই রেল। সে রেলপথ হারিয়ে গিয়েছে। বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস তুলে ধরার দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা ও যাত্রীরা।

তারকেশ্বর থেকে ত্রিবেণী এবং বর্ধমানের জামালপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল বেঙ্গল প্রভিন্সিয়াল রেল। রেল প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন হুগলির ধনেখালির সিতি পলাশী গ্রামের অন্নদাপ্রসাদ সিংহ রায়। ১৮৯৫ সালে রেলপথের উদ্বোধন হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে তারকেশ্বর থেকে ত্রিবেণী পর্যন্ত হয় ৩৩টি স্টেশন। জংশন স্টেশন করা হয়েছিল স্বাধীনতার পর বিপিআর ভারতীয় রেলের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৫৬ সালে বন্ধ হয়ে যায় এই রেলপথ।

বেঙ্গল প্রভিন্সিয়াল রেল উনিশ শতকের বাংলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এখন অমৃত ভারত প্রকল্পে তারকেশ্বর স্টেশনের জন্য ২৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তারকেশ্বরের বাসিন্দা ও ট্রেন যাত্রীদের দাবি, অন্নদাপ্রসাদ সিংহ রায় ও বিপিআর রেলের ইতিহাস তুলে ধরার কাজ হোক।

অন্নদাপ্রসাদের জন্ম ১৮৫০ সালে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যয়ন করেন রুরকির টমসন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে। ভারতীয় রেলে যোগ দিয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ার হন। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য তিনি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করেন। তাঁর পরিকল্পনার কথা শোনেন সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর মামা অমৃতলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাম গোপাল ঘোষ-সহ বহু বিশিষ্ট জন। ১৮৯০ সালে একটি কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন হয়। গোড়াতে আট লক্ষ এবং পরে আরও তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে রেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হল। এখন দাবি, রেল চালানোর উদ্যোক্তাদের অবদান তুলে ধরা হোক। ফলকের মাধ্যমে সেই সময়ের রেলের ইঞ্জিন-সহ অন্যান্য ইতিহাস তুলে ধরুক রেল কর্তৃপক্ষ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#History, #Railway, #Bengal Provincial Rail, #West Bengal

আরো দেখুন