প্রতারণার নতুন কৌশল, হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া হচ্ছে চাকরির ‘টোপ’
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ২০০ কোটিরও বেশি অ্য়াকাউন্ট হোল্ডার রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের। সবার বাড়িতেই তিন থেকে চার জন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। স্মার্টফোন যেমন আজ আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তেমনি হোয়াটসঅ্যাপও আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। আজ মানুষ শুধু হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করতে পারেন। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে একটি নতুন প্রতারণাচক্র জালিয়াতি শুরু করেছে। এই ফাঁদ এতটাই বিশ্বাসযোগ্য যে, স্ক্যামিংয়ের পদ্ধতিটি বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করছেন। পর যার ফল ভুগতে হচ্ছে তাদের।
চাকরির নামে লোক ঠকানো হচ্ছে ইনস্ট্যান্ট এই মেসেজিং অ্যাপে। একবার ঠগদের ফাঁদে পা দিলেই ফাঁকা হবে অ্যাকাউন্ট। যেমন, স্নাতক স্তর পাশ করেছেন বছর দুয়েক আগে। তবে চাকরি জোটেনি দুর্গাপুরের তরুণীর। অনলাইনে বিভিন্ন সংস্থায় ও জব-সাইটে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। নভেম্বর মাসে তাঁর মোবাইল একটি মেসেজ আসে। এক বেসরকারি সংস্থার নাম করে পার্ট টাইম চাকরি অফার করা হয় তরুণীকে। দিন বিশেষে কাজ। বেতনও ভালো। দৈনিক ৩০০০ টাকা। আবেদনের সম্মতি জানানোর জন্য হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো একটি লিঙ্কে ক্লিক করতে বলা হয়। নির্দেশ মানতেই গোটা ফোন চলে যায় প্রতারকদের কব্জায়। তরুণীর ব্যক্তিগত নথি, ছবি, ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য হাতের নাগালে পেয়ে যায় অসাধুচক্র। এরপরই শুরু হয় ব্ল্যাকমেল। এই নয়া পন্থায় প্রতারণার অভিযোগ জমা করেছে পুলিসের কাছে।
রাজ্য পুলিসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এরকম একটি ঘটনা নয়। বিভিন্ন থানা এলাকায় চাকরি দেওয়ার নামে ফোন হ্যাকের বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। এই ট্রেন্ডের মূল টার্গেট কমবয়সী মহিলারা। তাঁদের ফোন হ্যাক করে ছবি ও তথ্য হাতিয়ে ব্ল্যাকমেল করছে প্রতারকরা। পরবর্তীতে দাবি, টাকা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সামাজিক সম্মান বাঁচাতে সেই ব্ল্যাকমেলকে প্রশ্রয় দিয়ে ফেলছেন ভুক্তভোগীরা। তাতে ব্ল্যাকমেলের চাপ তো কমছেই না। বরং আরও বাড়ছে। সাইবার প্রতারণার এই নয়া ট্রেন্ডকে রুখতে ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করেছে পুলিস। প্রতিটি কমিশনারেট এবং থানায় সতর্কবার্তা প্রচারের কথাও বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সোশ্যাল মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে এই প্রতারণার বিরুদ্ধে সচেতন থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।