সাম্রাজ্য বিস্তারে সুন্দরবনের বাঘেরা! মিলল কোন ইঙ্গিত?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাম্রাজ্য বিস্তারে মন দিয়েছে সুন্দরবনের বাঘেরা? এলাকা বৃদ্ধিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা, এমনই ইঙ্গিত মিলছে সর্বত্র। সম্প্রতি বাঘ শুমারির জন্য জঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তাতেই এলাকা বাড়ানোর ঘটনা নজরে আসে বনকর্মীদের। এতকাল যে অঞ্চলে তাদের দাপট থাকত, এখন সেই এলাকা হয়ত আর তাদের জন্য যথেষ্ট নয়। মাঝেমধ্যেই জঙ্গল ছেড়ে জনবসতি এলাকায় ঢুকে পড়তে দেখা যাচ্ছে তাদের। মনে করা হত, খাবারের জন্য গ্রামে আসছে বাঘ। কিন্তু জানা যাচ্ছে, তারা নতুন নতুন এলাকায় ‘ঘর’ বাড়াচ্ছে। এলাকা চিহ্নিত করতে কোথাও গাছের ডালে, কোথাও মাটিতে নখের আঁচড় দিয়ে যাচ্ছে। দাগগুলি বাঘের দেওয়া ‘টেরিটরি মার্ক’।
শেষ দু’মাসে পাথরপ্রতিমা এবং মৈপীঠের কিছু অঞ্চলে বাঘের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বসতি এলাকা ছাড়াও, গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে বাঘ ঢুকে পড়ছে। বনকর্মীরা মনে করছেন, গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলকেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগাররা এখন নিজেদের ডেরা করতে চাইছে। পাথরপ্রতিমার শ্রীধরনগর গ্রামের কাছে একাধিকবার বাঘ বেরনোর ঘটনা সামনে এসেছে। শ্রীধরনগরের উল্টোদিকে ধংচি জঙ্গল, আরেক পাশে চুলকাটি এক নম্বর কম্পার্টমেন্ট। বনকর্মীরা ওই জঙ্গলের মাটিতে নখের আঁচড় দেখতে পেয়েছেন। একাধিক জায়গায় বাঘের বিষ্ঠা পাওয়া গিয়েছে। জঙ্গলের যে’সব জায়গা নাইলনের দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে, সেই জাল টপকানোর চেষ্টা করেছে বাঘ, তার প্রমাণও মিলেছে। তাই ফেন্সিংয়ের উচ্চতা আরও খানিকটা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তারা। বনকর্মীরাই বলছেন, এর আগে কখনও এভাবে বিভিন্ন জায়গায় মার্কিং দেখা যায়নি। প্রশ্ন উঠেছে, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা কি বেড়েছে? তাই কি এখন নতুন নতুন এলাকার সন্ধানে বেড়াচ্ছে বাঘেরা?