২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভার ভোট, বাংলা থেকে কাকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চলেছে পদ্ম শিবির?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে রাজ্যসভার ভোট ঘোষণা। সংসদের উচ্চ কক্ষের ৫৬টি ফাঁকা আসনের ভোটগ্রহণ দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভার ফাঁকা আসনগুলিতে নির্বাচন। মোট ১৫টি রাজ্য ফাঁকা রয়েছে এই রাজ্যসভা আসনগুলি। লোকসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি সম্ভবত ঘোষণা করা হবে মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে।
রাজ্যসভার যে ৫৬টি আসনে নির্বাচন হবে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৫টি আসন রয়েছে। এবার বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে এই ৫টি আসনের মধ্যে ১টি যেতে চলেছে বিজেপির ঝুলিতে।
এই একটি আসনে বিজেপি কাকে প্রার্থী করবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। বাংলা থেকে এর আগের রাজ্যসভার নির্বাচনে বিজেপি একটি আসনে জিতেছিল। ওই আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছিল কামতাপুরী নেতা অনন্ত মহারাজকে। তিনি এখন রাজ্যসভার সাংসদ। লোসসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তারা কাকে প্রার্থী করে তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিকমহলে।
রাজ্য থেকে কে প্রার্থী হবেন তাঁর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা’র নেতৃত্বাধীন বিজেপি’র পার্লামেন্টারি বোর্ড। কোন পদ্ধতিতে প্রার্থী বাছাই হতে পারে, তার ইঙ্গিত মিলেছে বিজেপির নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তায়। বিজেপি এমন কাউকে খুঁজতে পারে, যিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভোটারদের কাছে ‘চুম্বক’ হিসাবে কাজ করবেন। তাঁকে রাজনীতির লোক হতেই হবে এমন কোনও কথা নেই। অন্য ক্ষেত্রের কোনও বিশিষ্ট হতে পারেন। তবে সর্বস্তরের মানুষের কাছে তাঁর ভাল ভাবমূর্তি থাকা চাই।
আবার অনেকের মতে কোনও পুরনো নেতাকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে পুরস্কার দিতে পারে পদ্ম শিবির। তবে এর আগেও যে নামগুলো শোনা গিয়েছিল, এবারও সেই নামগুলোই বিজেপি’র বিভিন্ন সূত্র মারফত শোনা যাচ্ছে। যেমন- প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ ও সাংবাদিক স্বপন দাশগুপ্ত, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তীর নাম। লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, এই তিনজনকেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য এখনও কোনও বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। রাজ্য বিজেপির অন্দরে আরও বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে কানাঘুষো চলছে। যেমন রাজ্য বিজেপি’র প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা। পাশাপাশি এও শোনা যাচ্ছে দিলীপ ঘোষকে এবার লোসকসভায় আর প্রার্থী না করে রাজ্যসভায় পাঠানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি অর্থনীতিবিদ সঞ্জীব সন্যালের নামও শোনা যাচ্ছে। ২০১৭ সালে, তিনি ভারতীয় অর্থ মন্ত্রকের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসাবে নিযুক্ত হন এবং সেই সময় তিনি ভারতের অর্থনৈতিক সমীক্ষার ছয়টি সংস্করণ প্রস্তুত করতে সহায়তা করেছিলেন । ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হন।
বিজেপিরই একাংশের মতে বাংলা থেকে এবার কোনও মহিলাকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চাইছেন মোদী-শাহ-নাড্ডারা। এতে রাজ্যের মহিলাদের মন জয় করতে সমর্থ হবে বিজেপি। কারণ, গেরুয়া শিবিরের ধারনা, লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রীর কারণে রাজ্যের মহিলারা তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই রয়েছে।