গবেষণাগার থেকে বাতাসে মিশেছে একের পর এক মারণ জীবাণু
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2024/01/Virus-disaster-1024x576.jpg)
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন মারণ ভাইরাস। যা নিয়ে নানা সময়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। সার্স কোভ-২ ভাইরাস ঝাঁকুনি দিয়ে গেছে গোটা বিশ্বকে। আর সেই রেশ এখনও বহন করছে মানব শরীর। সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশিতেও ধুঁকছে মানুষ। এরই মধ্যে চঞ্চল্যকর একটি তথ্য উঠে এসেছে একটি সমীক্ষায়।
‘ল্যানসেট মাইক্রোব’ পত্রিকার রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত দু’দশকে ভয়ঙ্কর ল্যাবরেটরি বিপর্যয় ঘটেছে ১৬ বার। কখনও উত্তর চীনের ল্যানঝাউয়ে, কখনও সিঙ্গাপুরে, কখনও উত্তর আমেরিকায়, আবার কখনও ইউরোপে। আর এর ফলে বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে ৫১ ধরনের মারণ জীবাণু। সার্স তো বটেই, তালিকায় রয়েছে ব্রুসেলা, ম্যাড কাউ ডিজিসের মতো প্রাণঘাতী ‘হামলাকারী’। অজান্তে বিশ্ববাসী শিকার হয়েছে ৩০৯ ধরনের সংক্রমণের। হয়েছে হাজার হাজার মৃত্যুও। উল্লেখ্য কোভিডের উৎস কি চীনের উহানের গবেষণাগার? এই একটা প্রশ্নে গত তিন বছরে তোলপাড় হয়েছে গোটা বিশ্ব।
সালটা ২০০৩। ওয়েস্ট নিল নামক এক মারাত্মক ভাইরাস নিয়ে গবেষণাগারে কাজ করছিলেন এক গবেষক। কোনওভাবে তিনি প্রাণঘাতী সার্স ভাইরাসে সংক্রামিত হন। ল্যাব স্যাম্পেল নিয়ে কাজ করতে গিয়ে হওয়া এই বিপর্যয়ের জেরে পৃথিবীর ৮৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে সার্স। আক্রান্ত হন ৮ হাজারের বেশি মানুষ। মারা যান আটশোর কাছাকাছি। জন্ম হয় নতুন মহামারীর।
২০১৪ সাল। আমেরিকার কিছু সরকারি সংস্থার কর্মী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর একটি বাতিল ফ্রিজে বেশ কিছু পুরনো ভাওয়েল পান। তাতে লেখা ছিল ‘ভেরিওলা’। এই ‘ভেরিওলা’ কী? স্মল পক্সেরই আদিরূপ।
একটি ঘটনা ২০১৯ সালের। পরপর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন উত্তর-পশ্চিম চীনের ল্যানঝাউ শহরের একটি প্রাণী গবেষণাগারের কর্মীরা। উপসর্গ অবশ্য সাধারণ—জ্বর, গা-হাত-পায়ে ব্যথা। তদন্ত করে জানা যায়, কাছাকাছি একটি প্লান্টের কর্মীরা ব্রুসেলার টিকা তৈরি করছিলেন। তাঁরা প্লান্টের গ্যাসীয় বর্জ্য নষ্ট করার জন্য এক ধরনের জীবাণুনাশক ব্যবহার করেছিলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে তার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল। ফলে জীবাণু ধ্বংস হয়নি। বরং সেই গ্যাসে মিশে থাকা ব্রুসেলা ব্যাকটেরিয়া নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে। ওই ঘটনায় অসুস্থ মানুষের সংখ্যা কত ছিল? ১০ হাজারেরও বেশি। এভাবেই ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া।