রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ‘জোন’ পুনর্বিন্যাসের আড়ালে কি বঙ্গভঙ্গের চক্রান্ত?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ফের বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে মোদী সরকার? রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রশাসনিক গঠন পুনর্বিন্যাসের ছকে তেমনই ইঙ্গিত মিলছে। বাংলাকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ভাগ করে দিয়েছে তারা। আবার উত্তরবঙ্গের নিয়ন্ত্রক হচ্ছে ডবল ইঞ্জিন অসম। যা নিয়ে স্তম্ভিত ব্যাঙ্ক কর্মীরা। কেন এমন হল, কোনও উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না ব্যাঙ্ককর্মীরা।
ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক হল ব্যাঙ্ক অব বরোদা, ‘কলকাতা জোন’ থেকে তারা বাংলায় ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করত। সিকিম, আন্দামান ও নিকোবরের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য ছিল কলকাতা জোনের অধীনে। মোট শাখার সংখ্যা ছিল ৪৩১টি। এই সমগ্র অঞ্চলটিকে সাতটি রিজিওনাল অফিসে ভাগ করা হয়। সেভাবেই ব্যবসা চলছিল। সম্প্রতি বরোদা ব্যাঙ্ক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কলকাতা জোন থেকে উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যকে আলাদা করে দেওয়া হবে। নতুন করে গড়ে তোলা হবে ‘নর্থ ইস্ট স্টেটস জোন’। তার সদর দপ্তর হবে গুয়াহাটিতে। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলকাতা জোন থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি নিয়ন্ত্রিত হবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি গুয়াহাটি থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে। শিলিগুড়ি রিজিয়নকে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
১ এপ্রিল থেকে নয়া নিয়ম কার্যকর করতে চায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সেই মতোই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্ত রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন কর্মীরা। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি এবং ব্যাঙ্ক অব বরোদা এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের বাংলা ও সিকিমের সভাপতি জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত বাতিলের আবেদন করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, এই সিদ্ধান্তের কারণ পুরোপুরি রাজনৈতিক।
কেন মুর্শিদাবাদ-সহ উত্তরের ন’টি জেলা বিজেপি শাসিত অসম থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে? বাংলার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে? উঠছে প্রশ্ন।