রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

অধিক চা পানের ফলে আপনার শরীরে মারণ রোগ বাসা বাঁধছে না তো?

February 2, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: চা ছাড়া বাঙালির জীবন পানসে। সকালে উঠে থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের চায়ের প্রয়োজন। রাত জেগে পড়াশোনা করার সময় সঙ্গে এক ফ্লাস্ক চা রাখেন, কিংবা টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মাঝেও বার বার চায়ের কাপে চুমুক দিতে ইচ্ছে হয়। বেশ কয়েক বার চা না খেলে অফিসের কনকনে ঠান্ডায় বসে কাজ করতেও অসুবিধে হয়। একঘেয়েমি কাটাতে পানীয় হিসেবে চায়ের জুড়ি মেলা ভার। বিপাকহার বাড়িয়ে তোলার জন্যেও অনেকে বিশেষ কিছু চায়ের উপর ভারসা রাখেন। কিন্তু জানেন চায়ের নেশাও সর্বনাশা হতে পারে?

বিশেষজ্ঞদের কথায়, চায়ের একাধিক গুণ রয়েছে। এই পানীয় গলায় ঢাললেই ঘুম কেটে যায়, শরীরে এনার্জি মেলে ও বুদ্ধির গোড়ায় শান দিতে সুবিধা হয়। তাই তো বিশ্ব জুড়ে চা পানের এত ধূম। তবে কোনও শানিত অস্ত্রও অতি ব্যবহারে ভোঁতা হয়ে যায়। ঠিক এমনটাই ঘটে চায়ের সঙ্গে। নিয়মিত চা খেলে উপকার মেলা তো দূর, বরং বেশ কিছু সমস্যা পিছু নেয়।

চা পাতায় কিছু নিষিদ্ধ রাসায়নিক ও কীটনাশক প্রয়োগের বিষয়টি উঠে আসছে। যা বেশি পরিমাণে কচি পাতা উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও চা বাগানে ব্যবহার করার জন্য ৪৯টি রাসায়নিক বা কীটনাশকের নাম ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। তবে সেই নিয়ম অনেক চা চাষিই মানছেন না। ঠিক এই কারণেই উত্তরের তথা ডুয়ার্সের চা চাষিদের নিয়ে একটি ‘সেফ টি প্রোডাকশন’ কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কর্মশালাটি আয়োজিত হওয়ার কথা রয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে।

পরীক্ষায় মিলেছে, চা গাছে ব্যবহৃত কীটনাশক মানুষের শরীরে নিয়মিত প্রবেশ করলে কঠিন অসুখ হতে পারে। ডাক্তারের কথায় এর ফলস্বরুপ মারাত্মক রোগ ক্যানসার, পেটের সমস্যা অথবা লিভারের সমস্যাও হতে পারে। তাই এবার শুরু হচ্ছে কীটনাশক মুক্ত চাষ ও তৈরি এক সচেতন মূলক প্রচার। চা পর্ষদের তরফে তামিলনাড়ু, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্র চা চাষিদের জন্য চা পাতা প্রোটেকশন সংক্রান্ত এই সচেতনতা মূলক প্রচার আয়োজন করা হবে। সেখানে মূলত প্লান্ট প্রোটেকশন কোড ‌মেনে চা উৎপাদনে কথা বলা হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#drinking tea, #side effects, #tea

আরো দেখুন