বাংলার বহু রেল প্রকল্পের জন্য মোদী সরকারের বাজেটে বরাদ্দ মাত্র এক হাজার টাকা!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর এদিনই জোনভিত্তিক প্রকল্প সংবলিত ‘পিঙ্ক বুক’ প্রকাশ করেছে রেলমন্ত্রক। তাতেই স্পষ্ট হয়েছে বহু রেল প্রকল্পে বাংলাকে কেন্দ্রের বঞ্চনার ছবি। যদিও কলকাতার বিভিন্ন মেট্রো প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কিছুটা জোর দিয়েছে মোদী সরকার। তবুও এর ফলে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ কোনওমতেই ফিকে হচ্ছে না। এমনকী অন্তর্বর্তী বাজেট থেকে দেখা যাচ্ছে যে, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করা অনেক প্রকল্পেও নামমাত্র বরাদ্দ করা হয়েছে।
তারকেশ্বর-মগরা নতুন লাইন। কিংবা দীঘা-জলেশ্বর নয়া রেললাইন। অথবা কালিয়াগঞ্জ-বুনিয়াদপুর নতুন লাইন। আবার সাঁইথিয়া-তারাপীঠ থার্ড লাইন। তারাপীঠ-রামপুরহাট ডাবলিং। পাঁশকুড়া-খড়্গপুর ডাবলিং। কালীনারায়ণপুর-শান্তিপুর ডাবলিং। ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের অন্তর্বর্তী বাজেটেও বাংলার এমন বহু রেল প্রকল্পে নামমাত্র এক হাজার টাকা বরাদ্দ করল মোদী সরকার।
বাংলার অনেক রেল প্রকল্পে যেমন ‘প্রতীকী’ এক হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তেমনই অনেক প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ গতবারের তুলনায় লক্ষ্যণীয়ভাবে কমানোও হয়েছে। যেমন, ভাগীরথি নদীর উপর রেলসেতু সহ আজিমগঞ্জ-মুর্শিদাবাদ (জিয়াগঞ্জ) নতুন রেললাইন প্রকল্প। এবার ন’কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গতবার বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৫ কোটি টাকার কিছু বেশি। এই প্রকল্পটি মমতার আমলে ঘোষিত। যেমন, খড়্গপুর-নারায়ণগড় থার্ড লাইন প্রকল্প। গতবারের ৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা থেকে বরাদ্দ কমিয়ে এবার দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪৫ লক্ষ টাকা। বর্ধমান-কাটোয়া গেজ পরিবর্তন খাতে বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ ২৬ কোটি ৮০ লক্ষ থেকে কমিয়ে এবার দেওয়া হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ঘোষিত বালুরঘাট-হিলি নতুন লাইন প্রকল্পেও কমেছে বরাদ্দের পরিমাণ। গতবার ছিল প্রায় ৩১০ কোটি টাকা। এবার দেওয়া হয়েছে ২১০ কোটি টাকা।